শান্তশিষ্ট, ভদ্র অরুণিমা হঠাৎ বিগড়ে গেলেন কেন?
অরুণিমা ঘোষ নাকি একদম বখে গিয়েছেন! এলোমেলো চুল। আলুথালু পোশাক। সাজসজ্জা ভুলেছেন। সারা ক্ষণ নেশায় ডুবে। সবার চোখের সামনেই যা ইচ্ছে তা-ই করছেন। কেবল তিন জন মানুষের কথা তিনি একেবারে ফেলতে পারেন না। এক, মামা। দুই, ছোট বোন। আর তিন, এক পুলিশ অফিসার। টলিপাড়ার খবর, অভিনেত্রীর সঙ্গে প্রশাসনের ওই কর্তাব্যক্তির নাকি মন দেওয়া-নেওয়াও চলছে!
অরুণিমাকে টলিউড শান্তশিষ্ট, ভদ্র বলেই জানে। সেই তিনিই হঠাৎ বিগড়ে গেলেন কেন? এই খবরও রয়েছে টলিপাড়ার কাছে। সিরিজের পরেই পরিচালক সাগ্নিক চট্টোপাধ্যায় ছবি বানাতে চলেছেন। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় অভিনীত ‘প্র্যাঙ্কেনস্টাইন’-এর মতোই টানটান রহস্য-রোমাঞ্চ। সেখানেই মহিলা গোয়েন্দার ভূমিকায় অভিনেত্রী। নাম ‘লেডি চ্যাটার্জি’। স্বভাবে বাউন্ডুলে। কিন্তু এত অনিয়মের মধ্যেও মস্তিষ্ক কিন্তু ক্ষুরধার! সেই মস্তিষ্কই ধার নেন তাঁর মামা। তিনিও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ অফিসার। এই ভূমিকায় দেখা যাবে তথাগত মুখোপাধ্যায়কে। বড় বড় খুনের কিনারা করা লেডি চ্যাটার্জির কাছে জলভাত। তাঁকে তদন্তে সাহায্য করেন পুলিশ অফিসার ‘মন্দার’-খ্যাত দেবাশিস মণ্ডল। ছবিটির প্রযোজনায় ‘ক্যামেলিয়া’।
রহস্য যেন অরুণিমার পিছু ছাড়তেই চায় না। কখনও গোয়েন্দা-ঘরনি, তো কখনও রহস্য-রোমাঞ্চের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে তিনি। এ বার নিজেই মহিলা গোয়েন্দা! এই ছবিটি ছাড়াও আরও একটি ছবির কাজ নিয়েও ব্যস্ত অভিনেত্রী। অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়ের আগামী ছবিতে গৌরব চট্টোপাধ্যায়ের বিপরীতে দেখা যাবে তাঁকে। পর্দায় তাঁর শ্বশুরমশাই পরান বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবিতে অরুণিমা উত্তর কলকাতার ঘরোয়া, মিষ্টি বৌ! এক দিকে ভবঘুরে গোয়েন্দা। অন্য দিকে, তিনিই আবার মিষ্টি মেয়ে। অরুণিমা কোন চরিত্রকে এগিয়ে রাখছেন?
নায়িকার মুখে কুলুপ। তবে ইন্ডাস্ট্রি বলছে, সম্পূর্ণ বিপরীত দুটো চরিত্র পেয়ে অরুণিমা নাকি বেজায় খুশি। জোরকদমে প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছেন। শ্যুট শুরু সম্ভবত আগামী মাসে।