অনুপম খের। ছবি: সংগৃহীত
আশির দশকে বলিউডে অভিনয়ের সফর শুরু। তিন বছর পরে ১৯৮৫ সালে কিরণ খেরের সঙ্গে দ্বিতীয় বার বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হন অনুপম খের। কিরণের প্রথম পক্ষের সন্তান সিকন্দরের বয়স তখন চার। অনুপমের কাছে তাঁর বাবা যেমন ছিলেন, সিকন্দরকেও সেই একই জায়গা দেন অভিনেতা। কিন্তু নিজের সন্তান না থাকায় কোথাও কি আক্ষেপ বা শূন্যতার চোরাস্রোত বইছে মনের আঙিনায়?
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অনুপমকে এই প্রশ্ন করা হয়। জবাবে তিনি বলেন, “আগে এই ধরনের অনুভূতি কাজ করেনি। কিন্তু এখন মাঝেমধ্যে এই ভাবনা উঁকি দেয় মনে। গত সাত-আট বছর ধরে মনে হচ্ছে এটা।” তবে তিনি এ-ও স্মরণ করিয়ে দেন, সিকন্দরের সঙ্গে তিনি যে অখুশি এমন নয়। কিন্তু একটি শিশুকে বেড়ে উঠতে দেখার মধ্যে আলাদা আনন্দ লুকিয়ে রয়েছে। অভিনেতা আরও বলেন, “এই যে বাবা-ছেলের বন্ধন তৈরি হয়, তা দেখার মধ্যে আনন্দ পাওয়া যায়। আমি এই প্রশ্ন এড়িয়ে যেতেই পারতাম। কিন্তু আমি তা চাই না। সৎ ভাবেই উত্তর দিলাম।” তবে অনুপমের মতে, “এটা আমার জীবনের দুঃখ নয়। কিন্তু, মাঝেমাঝে মনে হয় যদি নিজের সন্তান থাকত, তা হলে ভাল হত।”
অনুপম জানান, তিনি অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু ৫০-৫৫ বয়সে এসে জীবনে শূন্যতা অনুভব করেন। স্ত্রী কিরণ ও সৎছেলে সিকন্দরও নিজেদের কর্মজগতে ব্যস্ত তত দিনে। অভিনেতা নিজের সংস্থার শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাতে শুরু করেন। বললেন, “শিশুদের সঙ্গে প্রচুর কাজ করি আমরা। যখন বন্ধুদের সন্তানদের দেখি, আমি মিস্ করি। আমারও সন্তান থাকতে পারত।” যদিও একে ক্ষতির অনুভূতি বলতে নারাজ অভিনেতা। জানা গিয়েছে, কিরণ চেয়েছিলেন অনুপমের সন্তানের মা হতে। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। এমনকি চিকিৎসা করিয়েও লাভ হয়নি।