অরুণিমা হালদার। ছবি: সংগৃহীত।
জন্ডিসে কাবু। শরীর দুর্বল। কিন্তু কাজ থামিয়ে রাখার কোনও সুযোগই নেই। এক সপ্তাহ হয়ে গেল জন্ডিসে ভুগছেন ‘কাজল নদীর জলে’ ধারাবাহিকের অভিনেত্রী অরুণিমা হালদার। দুর্বল শরীর নিয়েই শুটিং সেটে আসছেন। ধারাবাহিকের গল্প গুরুত্বপূর্ণ মোড় নিয়েছে। তাই তিনি না এলে এপিসোডের শুটিংই হবে না। আনন্দবাজার অনলাইনকে অরুণিমা বলেন, “কাজ তো চলছেই। আমাকে ছাড়া কী ভাবে চলবে।”
চিকিৎসক প্রথমে টানা দু’সপ্তাহের বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই পরামর্শ মানলে কাজে ক্ষতি হত। তাই শরীরের দিকে খেয়াল রেখেই শুটিং সারছেন অরুণিমা। তবে শুটিং সেটে প্রত্যেকেই তাঁর সঙ্গে সহযোগিতা করছেন বলে জানান অভিনেত্রী। অরুণিমার কথায়, “দু’সপ্তাহ বিশ্রামে থাকা সম্ভব নয়। চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেই শুটিংয়ে আসছি এখন। এখানে সকলে খুব সহযোগিতা করছেন। আমাকে রোজ আসতে হচ্ছে না। এক দিন অন্তর এসে আমি শুটিং করে যাচ্ছি।”
বাইরের খাবারে এখন সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা। তাই বাড়ি থেকে সারা দিনের খাবার নিয়ে আসছেন অভিনেত্রী। প্রতি দিনই অরুণিমার সঙ্গে শুটিং সেটে তাঁর মা আসছেন। এক সপ্তাহ আগে শারীরিক পরীক্ষায় জন্ডিস ধরা পড়ে। পুজোর শেষের দিক থেকেই ভুগছেন তিনি। প্রায়ই জ্বর আসত। তবে ৯৯ থেকে ১০০-র বেশি তাপমাত্রা ছাড়াত না থার্মোমিটারে। সঙ্গে গায়ে, হাত-পায়ে অসহ্য যন্ত্রণা। এখনও বিলিরুবিনের মাত্রা কমেনি। অরুণিমা বলেন, “বিলিরুবিন আবার বৃদ্ধি পাওয়ায় আজই শুটিং সেরে চিকিৎসকের কাছে যাব। এখনও মাঝেমাঝেই জ্বর জ্বর ভাব থাকছে, দুর্বলতাও রয়েছে।”
তবে দীর্ঘ ছুটি নেওয়া কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। অরুণিমার কথায়, “শুটিং সেটে সকলে এতটা সহযোগিতা করছেন বলেই আমি কাজটা করতে পারছি। পরিচালক থেকে শুরু করে সহ-অভিনেতা, প্রত্যেকে আমার পাশে রয়েছেন। সহকর্মীরা সমস্যাগুলো বুঝতে পারলে এবং অনুভব করতে পারলে তখনই অসুখ অনেকটা সেরে যায়।”
পুজোর সময় থেকেই অসুস্থ অরুণিমা। তাই পুজোটাও প্রায় বাড়িতেই কেটেছে তাঁর। যদিও এই বছর পুজো নিয়ে তাঁর বিশেষ কোনও পরিকল্পনাও ছিল না। তাঁর কথায়, “এ বার পুজোয় কোনও পরিকল্পনা থাকার কথাও ছিল না। কিন্তু তখনই জ্বর আসে বলে বাড়িতে শুয়েই পুজো কাটিয়েছি। আর এখন তো অসুস্থই। তাই কালীপুজোতেও তেমন কোনও পরিকল্পনা নেই।”