ছবির দৃশ্য
বাংলার চেনা ইতিহাসের অচেনা দিক খুঁজে বার করতে আরও এক বার তৈরি সোনাদা, আবীর ও ঝিনুক। মাসের শেষেই তাঁদের বড় পর্দায় নিয়ে আসছেন পরিচালক ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়, ‘দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন’-এ। পরিচালক জানালেন, এই ছবিতে অ্যাডভেঞ্চারের পরিসর আগের চেয়ে অনেকটা বেড়েছে। দর্শকের জন্য উপরি পাওনা, দুর্গাপুজো। ধ্রুব বলছিলেন, ‘‘গুপ্তধন খুঁজে বার করতে হবে পুজোর পাঁচ দিনের মধ্যেই। দেখা যাক, সোনাদা পুজোর অন্য কোনও দিক উন্মোচন করতে পারে কি না?’’
আবীর চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন চক্রবর্তী ও ইশা সাহার বন্ধুত্বের রসায়ন আগের ছবিতেই দর্শকের নজর কেড়েছিল। ক্যামেরার পিছনেও তাঁদের হইহুল্লোড় লেগেই থাকে। তবে চরিত্র হিসেবে তাঁরা যেমন, পর্দার বাইরে কিন্তু একেবারেই আলাদা। যেমন ধরুন, আবীরের চরিত্রে অর্জুন। ছবিতে সারাক্ষণ খাই-খাই করেন। এ দিকে বাস্তবে তাঁর ডায়েট পুরোদস্তুর ক্যালরি মেপে। সঙ্গে রোজকার ওয়র্কআউট। এ দিকে আবীর (চট্টোপাধ্যায়) ও ইশা যত পারতেন, খাবার চাপিয়ে দিতেন অর্জুনের প্লেটে। তাঁদের যুক্তি, ‘‘চরিত্র ডিমান্ড করছে তো!’’
আর এক প্রান্তে ইশা। বাস্তবে যিনি মারপিটের ধারকাছ দিয়েও যান না! এ দিকে ছবিতে তাঁকে মারতে হবে ভিলেনদের। এই দৃশ্যের জন্য যেমন ইশাকে সাহায্য করেছেন আবীর-অর্জুন, তেমনই ইশাকে নিয়ে মজা করার সুযোগও হাতছাড়া করেননি পর্দার কাকা-ভাইপো।
ছবির আউটডোর শুটিং হয়েছে ঝাড়গ্রামে। কনকনে ঠান্ডায় শুটিং করেছে ছবির টিম। ‘‘একটা দৃশ্য ছিল, যেখানে সন্ধেবেলা পুকুরে ডুব দিয়ে এসে ভিজে কাপড়ে আধ ঘণ্টা সংলাপ বলতে হবে অর্জুনকে। আমার একটু খারাপই লাগছিল ওর জন্য। তবে অর্জুন বলল, রি-টেক করতে হলেও কোনও চাপ নেই,’’ অভিনেতাদের ডেডিকেশনে রীতিমতো মুগ্ধ পরিচালক।
আগের ছবির মতো এই ছবিতেও দুঁদে ভিলেনের চরিত্রে দেখা যাবে কোনও তাবড় অভিনেতাকেই। তবে তিনি কে, তা দর্শকের জন্য সারপ্রাইজ়ই থাক।
চার বছরের বিহান সাহা দালাল প্রথম বার অভিনয় করেছে এই ছবিতে। গোটা ইউনিটের চোখের মণি ছিল ছবির ‘কুচো’। এ বারে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু দুর্গেশগড় কোথায় নির্মাণ করা হয়েছে?
রহস্য জিইয়ে রেখে পরিচালকের জবাব, ‘‘সেটা পর্দাতেই দেখতে পাবেন দর্শক...’’