—প্রতীকী ছবি।
দাঁত মাজার পর অনেকেরই ব্রাশ দিয়ে জিভ পরিষ্কার করার অভ্যাস থাকে। আর সেই কাজ করতে গিয়েই ভয়ঙ্কর কাণ্ড করে বসলেন বছর চল্লিশের মহিলা। ২০ ইঞ্চি লম্বা দাঁতমাজার একটি ব্রাশ গিলে ফেললেন পুণের বাসিন্দা এক মহিলা। তাঁকে চিকিৎসার জন্য আনা হলে এই ঘটনা দেখে স্তম্ভিত চিকিৎসকরাও। গলায় আটকে থেকে ব্রাশটি বার করে নেওয়ার পর প্রাণে বেঁচে যান ওই মহিলা।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, পুণের মহিলাকে পিম্পরি-চিঞ্চওয়াদ পুরসভার ডি ওয়াই পাতিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আর কিছু ক্ষণ দেরি হলে শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হতে পারত তাঁর, এমনটাই জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট অভিজিৎ কারাদ জানান, তাঁদের কাছে যখন রোগীকে নিয়ে আসা হয় তখন দেখে মনে হয়েছিল ব্রাশটি বার করা অসম্ভব। সকলেই অবাক হয়েছিলেন এটা ভেবে যে, কী ভাবে এক জন গোটা ব্রাশ গিলে ফেলেছেন!
সারা বিশ্বে এই ধরনের ঘটনা বিরল। মাত্র ৩০ জন এই ঘটনার শিকার হয়েছেন। মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যাযুক্ত রোগীরা বা স্কিৎজ়োফ্রেনিয়া, বুলিমিয়া বা অ্যানোরেক্সিয়াতে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে এই ধরনের প্রবণতা রয়েছে। বহু ক্ষেত্রে দেখা গিয়ে মুদ্রা বা ছোট জিনিস গিলে ফেলে দুর্ঘটনা ঘটে। এত বড় একটি ব্রাশ গিলে ফেলার ঘটনা মহারাষ্ট্রে প্রথম বলে জানান চিকিৎসক কারাদ।
২০১৩ সালে ৩৫ বছর বয়সি এক ব্যক্তিকে এমএম. হরিয়ানার ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চ (এমএমআইএমএসআর) আনা হয়েছিল যিনি ভুলবশত টুথব্রাশ গিলে ফেলেছিলেন। আশ্চর্যজনক ভাবে ওই ব্যক্তি টুথব্রাশ গিলে ফেলার দুই মাস পরে চিকিৎসার জন্য আসেন। এক্স-রে করে তাঁর পেটে টুথব্রাশের উপস্থিতি টের পান চিকিৎসকেরা।