অনিন্দিতা সর্বাধিকারী। ছবি: সংগৃহীত।
বৃহস্পতিবার তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ। একমাত্র সন্তান অগ্নিস্নাতের আঁকা ছবি ভাগ করে নিয়েছেন সমাজমাধ্যমে। বর্ষাকালের একটি ছবি এঁকেছিল সে। তার পরেই আচমকা বুকে ব্যথা। শুক্রবার হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি পরিচালক অনিন্দিতা সর্বাধিকারী। নিজের অসুস্থতার খবর তিনি নিজেই সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে বাড়িতে তাঁর বৃদ্ধ বাবা আর ছোট ছেলে। তাই কাউকে তাঁর নম্বরে ফোন করে খোঁজ না নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। এতে তাঁরা অকারণ ব্যস্ত হবেন, দুশ্চিন্তায় ভুগবেন।
নিজের শারীরিক অবস্থা এবং চিকিৎসার কথা নিজেই সবিস্তার জানিয়েছেন অনিন্দিতা। গত রাতে তাঁর পোস্ট থেকে জানা গিয়েছে, বিধাননগরের এক বেসরকারি হাসপাতালে বুকে ব্যথা নিয়ে তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর বাড়ির চিকিৎসক তাঁকে তেমনই পরামর্শ দিয়েছেন। সবাই যাতে তাঁর পাশে থাকেন, সেই অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি। শনিবার সকালে জানিয়েছেন, অ্যাঞ্জিয়োপ্লাস্টি হবে তাঁর। অস্ত্রোপচারের পরেও নিজের ছবি দিয়ে বর্তমান পরিস্থিতির কথা জানিয়ে অনিন্দিতা লিখেছেন, ‘‘হার্টের একটি ধমনীর রক্ত চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তাই অ্যাঞ্জিয়োপ্লাস্টি করাতে হয়েছে। এখন রক্ত চলাচল স্বাভাবিক ছন্দেই হচ্ছে। আর কোনও সমস্যা নেই।’’ পরিচালককে সঠিক সময়ে হাসপাতালে ভর্তির সঠিক পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসক ইন্দ্রাণী গুহ। তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অনিন্দিতা। ধন্যবাদ জানিয়েছেন আর এক চিকিৎসক হেমা রথকে। তিনি তাঁর অ্যাঞ্জিয়োপ্লাস্টি করেছেন।
অনিন্দিতার ভাগ করে নেওয়া ছবি বলছে, আচমকা অসুস্থতা, বুকে ব্যথা, অস্ত্রোপচার— তাঁকে দমাতে পারেনি। তাঁর মুখের হাসিও কেড়ে নিয়ে পারেনি। চিকিৎসকের পরামর্শে সম্ভবত তিনি একাই যাবতীয় পদক্ষেপ করেছেন। সমস্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ভয়কে জয় করে ক্রমশ সুস্থতার পথে তিনি। এ ভাবেই বরাবর পরিচালক স্বাধীন ভাবে নিজের জীবনের প্রতিটি সিদ্ধান্ত নিতে অভ্যস্ত। বিয়ে না করে আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তান ধারণ করেছেন। মা হয়েছেন। সেই সময় অনেক কটাক্ষ, সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছিল তাঁকে। অনিন্দিতা তখনও হাসিমুখে একাই সব সামলেছিলেন।