আগামীতে বড় পর্দা যদি ঘন ঘন ডাকে? ছোট পর্দা ছেড়ে দেবেন অনিন্দিতা? অভিনেত্রীর দাবি, ছোট পর্দা তাঁকে নানা স্বাদের চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ করে দেয়। বলিষ্ঠ চরিত্রও দেয়। যারা ছাপ রেখে যায় পর্দায়। এই লোভ তিনি সামলাতে পারবেন না। বড় পর্দাও সে রকমই চরিত্র দিলে ছোট পর্দা সামলে কাজ করবেন।
আবীর-অনিন্দিতা
অনিন্দিতা রায়চৌধুরী এ বার অন্য স্বাদের চরিত্রে। মঙ্গলবার রাতে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সোনাদা সিরিজের আগামী ছবি ‘কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন’-এ একটি চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। আনন্দবাজার অনলাইন ফোনে যোগাযোগ করতেই গলায় খুশির আমেজ।
কেমন লাগছে বড় পর্দায় অভিনয় করে? কী ভাবে ‘কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন’-এ সুযোগ পেলেন? অনিন্দিতার কথায়, পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে সহকারী পরিচালক হিসেবে অনেক ছবিতে ছিলেন তিনি। তখন থেকেই এসভিএফ-এর সঙ্গে পরিচয়। এর আগেও একাধিক বার ডাক পেয়েছেন। কিন্তু কাজ করে ওঠা হয়নি। তবে এ বার আর ধ্রুব এবং প্রযোজনা সংস্থার ডাক ফেরাননি তিনি। যদিও প্রচণ্ড ভয়ে ছিলেন, ধারাবাহিক ‘ধুলোকণা’ সামলে সময় বের করতে পারবেন তো? ছবির সেটের বেশির ভাগ মানুষ তাঁর বহু বছরের চেনা। আবীর চট্টোপাধ্যায় থেকে পোশাক শিল্পী জয়িতা, ধ্রব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহকারী পরিচালক আইভি, অনেকেই। আবীর রাজের ‘বোঝে না বোঝে না’-র নায়ক ছিলেন। সেই ছবিতে রাজের সহকারী ছিলেন অনিন্দিতা।
অনিন্দিতা না জানালেও টলিউড জানে, অভিনেত্রী ইতিমধ্যেই পুরুলিয়ায় তাঁর অংশের শ্যুট সেরে এসেছেন। আপাতত তিনি কলকাতায়। এখানেই তাঁর বাকি অংশের শ্যুট হবে। পুরুলিয়ায় আবীর চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন চক্রবর্তী, ইশা সাহা ছাড়াও ছিলেন কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, কিঞ্জল নন্দা। ২৯ মার্চ, রবিবার সবাইকে নিয়ে হাওড়া-রাঁচী ইন্টারসিটিতে চেপে লোকেশনে পৌঁছে যান পরিচালক। সে খবরও প্রথম প্রকাশ করেছে আনন্দবাজার অনলাইন।
কেমন চরিত্রে দেখা যাবে অনিন্দিতাকে? সবিস্তার এক্ষুণি ফাঁস করতে নারাজ তিনি। নিজের চরিত্রের নামও জানাননি। বলেছেন, ‘‘আমি খুব হাসি। হইচই করতে ভালবাসি। ধ্রুবদা বলেছেন, ছবিতেও ঠিক সে ভাবেই আমায় দেখানো হবে।’’ পর্দায় ‘সোনাদা’ আবীরকে গুপ্তধন খুঁজতে সাহায্য করবেন? অনিন্দিতার দাবি, শুধু তিনি নন, যত জন চরিত্র আছেন সবাই নিজেদের মতো করে আবীরের পাশে থাকবেন। এর আগে ‘সোনাদা ফ্র্যাঞ্চাইজি’র একটি ছবিতে আভাসে বলা হয়েছিল, আবীরের নাকি এক প্রেমিকাও আছেন। তিনিই কি অনিন্দিতা?
ফোনেই হাসিতে ভেঙে পড়েছেন ছোট পর্দার ‘চড়ুইয়ের মা’। হাসি সামলে উত্তর, ‘‘ইসসস, এটা তো জানতাম না! জানলে ওই চরিত্রকেই পর্দায় আনার অনুরোধ জানাতাম। ওই চরিত্রেই অভিনয় করতাম। অনেকেই জানেন না, ইন্ডাস্ট্রিতে আসার আগে থেকে আবীরদাকে চিনি। তখনও তিনি ততটা পরিচিত মুখ নন। চাকরি করতেন। রোজ এস৯ বাসে চেপে অফিসে যেতেন। আমিও ওই বাসেই উঠতাম। অফিস যাব বলে। আবীরদা তো আমার এস৯ বাসের ক্রাশ!’’ সূত্রের খবর, ছবিতে অনিন্দিতার বিপরীতে রয়েছেন কিঞ্জল নন্দা।
আগামীতে বড় পর্দা যদি ঘন ঘন ডাকে? ছোট পর্দা ছেড়ে দেবেন অনিন্দিতা? অভিনেত্রীর দাবি, ছোট পর্দা তাঁকে নানা স্বাদের চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ করে দেয়। বলিষ্ঠ চরিত্রও দেয়। যারা ছাপ রেখে যায় পর্দায়। এই লোভ তিনি সামলাতে পারবেন না। বড় পর্দাও সে রকমই চরিত্র দিলে ছোট পর্দা সামলে কাজ করবেন। আর যদি বারে বারে মা-এর চরিত্র পান? যেমন ‘দেশের মাটি’র পরেই ‘ধুলোকণা’। অভিনেত্রীর সপাট জবাব, ‘‘এটাই তো চ্যালেঞ্জ। আমি যেটা নই, তা হয়ে ওঠা। সে রকম চরিত্র পেলে স্বামী সুদীপ সরকারের মা হতেও রাজি!’’