Abir Chatterjee

Suhotra Mukherjee: ‘সোনাদা’ আবীরই ফের ব্যোমকেশ! সহকারী অজিত ‘গোরা’র সুহোত্র

ঋত্বিক এর আগে অজিত চরিত্রে অভিনয় করে ছাপ রেখে গিয়েছেন। সুহোত্রের দাবি, তুল্যমূল্য বিচারের কোনও জায়গাই নেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২২ ১৯:৩১
Share:

আবীর চট্টোপাধ্যায়।

বাংলা বিনোদন দুনিয়ায় ২০২২-এর ২৩ মার্চ স্মরণীয় নানা কারণে। এ দিন একসঙ্গে দুই ছবির মহরৎ এসভিএফের। ‘ব্যোমকেশ’ এবং ‘কর্ণ সুবর্ণের গুপ্তধন’। এক দিনে ‘ডবল গোয়েন্দা’ আবীর চট্টোপাধ্যায়! একই অঙ্গে তিনি ব্যোমকেশ এবং সোনাদা! চার বছর পরে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরলেন। এসভিএফের সঙ্গে আবার ছবি করতে চলেছেন অরিন্দম শীল। তাঁর চতুর্থ ‘ব্যোমকেশ’ দিয়ে। এই ছবির মাধ্যমেই প্রথম সারির প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধল ক্যামেলিয়া প্রোডাকশনস। এবং একই দিনে ‘গোরা’র সহকারী সুহোত্র মুখোপাধ্যায়ের পদোন্নতি। তিনি এক লাফে ব্যোমকেশের ‘অজিত’।

সকাল থেকেই তাই তুমুল ব্যস্ততা প্রযোজনা সংস্থার ঘরে। উপস্থিত দুই কর্ণধার শ্রীকান্ত মোহতা, মহেন্দ্র সোনি এবং ক্যামেলিয়ার কর্ণধার নীলরতন দত্ত, পরিচালক অরিন্দম শীল, ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ছবির অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। বিধি মেনে পুজো, ক্ল্যাপস্টিক, মোবাইলে সেলফি ছিলই। তবে এ দিন চওড়া হাসি ছিল আবীর চট্টোপাধ্যায়ের মুখে। অভিনেতা দুটো ক্ল্যাপস্টিক মুঠোয় ধরে পোজ দিয়েছেন। যেন বলতে চেয়েছেন ২০২২ তাঁর মুঠোয়। আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল অভিনেতার সঙ্গে। সহকারী জানিয়েছেন, মহরৎ শেষেই অন্য একটি অনুষ্ঠানে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন আবীর।

Advertisement

এক সঙ্গে দুটো ছবির মহরৎ এসভিএফের।

একই ভাবে ব্যস্ত পরিচালক অরিন্দম শীলও। সকালে ছিলেন ছবির মহরতে। তাঁর চতুর্থ ‘ব্যোমকেশ’ শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের অসমাপ্ত উপন্যাস ‘বিশুপাল বধ’ অবলম্বনে তৈরি হচ্ছে। সত্যবতীর ভূমিকায় সোহিনী সরকার। উপন্যাস শেষ করার দায়িত্বে পদ্মনাভ দাশগুপ্ত। তিনিই চিত্রনাট্য লিখছেন। পরিচালকের মতে, পদ্মনাভর কাছে এটি বড় চ্যালেঞ্জ। সম্ভবত মে মাসে ছবির শ্যুট শুরু হবে। বিকেলেই পরিচালক ব্যস্ত তাঁর আগামী ছবি ‘ইস্কাবনের বিবি’-র চিত্রনাট্য পড়ায়।

আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন ক্যামেলিয়ার নীলরতন। তিনি খুশি এই পদক্ষেপে। কী কারণে গাঁটছড়া বাঁধলেন এসভিএফের সঙ্গে? প্রযোজকের কথায়, ‘‘এক, এসভিএফ থেকেই একসঙ্গে কাজ করার আমন্ত্রণ আসে। তখনই মনে হয়, বাংলা বিনোদন দুনিয়ার স্বার্থে, বড় কাজের স্বার্থে হাত মেলানো উচিত। তাই রাজি হয়েছি। দুই, ব্যোমকেশের স্বত্ব ক্যামেলিয়ার ছিল না। ফলে, এই ছবি দিয়েই একসঙ্গে পথচলা শুরু।’’

Advertisement

উত্তেজিত সুহোত্রও। ‘গোরা’র সহকারী এ বার ব্যোমকেশের ‘অজিত’.... কথা ফুরোনোর আগেই অভিনেতা স্বীকার করলেন, ‘‘যতটা খুশি, ততটাই ভয়। এই প্রথম আবীর চট্টোপাধ্যায় এবং অরিন্দম শীলের সঙ্গে কাজ। অ্যাকশন-কাট শব্দগুলোর হাত ধরেই আশা করি ভয় কাটিয়ে উঠতে পারব।’’ ঋত্বিক এর আগে অজিত চরিত্রে অভিনয় করে ছাপ রেখে গিয়েছেন। সুহোত্রের দাবি, তুল্যমূল্য বিচারের কোনও জায়গাই নেই। তিনি নিজের মতো করে বুঝে চরিত্রটি জীবন্ত করার চেষ্টা করবেন। ‘গোরা’র সহকারী থেকে ‘অজিত’ হয়ে ওঠা কঠিন? কী ভাবে নিজেকে ঘষামাজা করছেন? সুহোত্রের দাবি, তিনি ব্যোমকেশের অন্যান্য উপন্যাস পড়ছেন। অজিতকে চিনতে। পাশাপাশি, পরিচালকের নির্দেশের উপরেও নির্ভর করবেন অনেকখানি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement