হিন্দি ছবির নায়িকাকে বধূ করার ক্ষেত্রে তীব্র আপত্তি ছিলপরিবারের। সব বাধা উপেক্ষা করে টিনা মুনিমকে বিয়ে করেছিলেন অনিল অম্বানী। কিন্তুতাঁদের দাম্পত্যও বার বার বিভিন্ন ঝড়ের মুখোমুখি হয়েছে।
অনিলকে বিয়ের আগে সঞ্জয় দত্ত-সহ একাধিক নায়কের সঙ্গে সম্পর্ক ছিলটিনার। কিন্তু সে সব সম্পর্ক ছায়া ফেলেনি তাঁর দাম্পত্যে। অন্যদিকে অভিযোগ, অনিল বিয়েরপরে জড়িয়ে পড়েছিলেন বিভিন্ন সম্পর্কে।
২০০৪ সালে কেরিয়ারের শীর্ষে ছিলেন ঐশ্বর্যা। ‘হমদিল দে চুকে সনম’, ‘তাল’, ‘দেবদাস’, ‘মহাব্বতেঁ’-সহ পর পর সুপারহিট ছবির নায়িকা তিনি।প্রত্যেক পরিচালক ও প্রযোজকের স্বপ্ন, অ্যাশকে তাঁদের ছবিতে নায়িকা করার।
এই সময়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন ঐশ্বর্যা। ইন্ডাস্ট্রিতে গুঞ্জন ওঠে,শিল্পপতি ধীরুভাই অম্বানীর ছেলে অনিলের সঙ্গে তিনি বিশেষ অন্তরঙ্গ।
পরে এই প্রসঙ্গে তীব্র আপত্তি জানান ঐশ্বর্যা। প্রাক্তনবিশ্বসুন্দরীর দাবি, কোনও বিশেষ সম্পর্ক তো দূর অস্ত। অনিলের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎইহয়েছে মাত্র কয়েক বার।
শুধু ঐশ্বর্যাই নন। আর এক বিশ্বসুন্দরী সুস্মিতা সেনের সঙ্গেওঅনিলের সম্পর্ক নিয়ে ছড়িয়েছিল গুঞ্জন।
এমনও শোনা গিয়েছিল, সুস্মিতার জন্য নাকি বহুমূল্য হিরের আংটিও কিনেছিলেন অনিল।
কিন্তু অনিল-সুস্মিতার সম্পর্ক বেশি দূর এগোয়নি। সম্পর্ক ভেঙেযাওয়ার কারণ জানা যায়নি। তবে মনে করা হয়, সুস্মিতাই সরে দাঁড়ান সম্পর্ক থেকে।
ঐশ্বর্যা-সুস্মিতা ছাড়া প্রীতি জিন্টার সঙ্গেও অনিল অম্বানীরবিশেষ সম্পর্ক ছিল বলে গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। কিন্তু সেই সম্পর্কও রয়ে যায় রটনারস্তরেই।
একাধিক সম্পর্কের গুঞ্জনের জেরে ভাঙতে বসেছিল অনিল-টিনা দাম্পত্য।
ঘনিষ্ঠ মহলে কান পাতলে শোনা যায়, অনিলকে ডিভোর্স দিতে রাজি ছিলেননা টিনা।
শেষ অবধি সব ঝড় সামলে স্থায়ী হয় অনিল-টিনার দাম্পত্য। অম্বানীপরিবারে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের সময় তাঁদের বন্ধন আরও দৃঢ় হয়েছে বলে খবর। জীবনের কঠিন সময়ে স্বামীর পাশে থেকে শক্ত হাতে হাল ধরেছেন অম্বানী পরিবারের ‘ছোটি বহু’টিনা।