দায়িত্ব নিয়ে রটানো হয়েছিল, ‘কৃষ্ণকলি’ ইউনিটের সবার করোনা: রিমঝিম মিত্র

দর্শকদের কৌতূহল, এত প্যাঁচ-পয়জার মাথায় আসে কী করে ‘দিশা’ রিমঝিম মিত্রের?হেসে ফেললেন প্রশ্ন শুনে, ‘‘আমি থোড়াই এ সব করছি!

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০২০ ১৬:৫০
Share:

রিমঝিম মিত্র

তিনি ‘কৃষ্ণকলি’ ধারাবাহিকের ‘দিশা’। যার দুষ্টু বুদ্ধির চোটে নাকানিচোবানি খাচ্ছে শ্যামা-সহ বাড়ির সবাই। ফি-দিন নিত্যনতুন প্যাঁচ, তাতেই বাজিমাত। গত সপ্তাহে ৯.৫, এ সপ্তাহে ১০.২! পর পর দু’সপ্তাহের সেরা জি বাংলার ‘কৃষ্ণকলি’।

Advertisement

দর্শকদের কৌতূহল, এত প্যাঁচ-পয়জার মাথায় আসে কী করে ‘দিশা’ রিমঝিম মিত্রের?হেসে ফেললেন প্রশ্ন শুনে, ‘‘আমি থোড়াই এ সব করছি! পুরোটাই চিত্রনাট্য করাচ্ছে আমায় দিয়ে। যদিও দর্শকেরা ভাবেন, সবটাই দিশার মাথা থেকে বেরোচ্ছে। তাই দর্শক সোশ্যালে বলে, ‘এত দুষ্টুমি করো না’ বা ‘শ্যামাকে আর কত জ্বালাবে’? আমার ভাল লাগে। যেটা চেয়েছিলাম সেটা করে দেখাতে পারছি।’’

সব সময় ‘শ্যামা’-কে সিরিয়াল বা দর্শক যেন মাথায় তুলে রেখেছেন। একটুও হিংসে হয় না ‘দিশা’র? ‘‘হয় না। কারণ, আমি নিজে বেছে নিয়েছি এই চরিত্র। কেউ চাপিয়ে দেয়নি। মনে হয়েছে, দিশা চরিত্রে অনেক শেড আছে। অভিনয়টা উপভোগ করতে পারব। করছিও’’, স্বতঃস্ফূর্ত উত্তর রিমঝিমের।

Advertisement

অথচ ‘কৃষ্ণকলি’-ই এক সময় মাথাব্যথার কারণ হয়েছিল ‘দিশা’র কাছে। লকডাউনে নাকি ভীষণ টেনশন করেছেন সিরিয়ালের জনপ্রিয়তা থাকবে কিনা তাই নিয়ে? অভিনেত্রীর জবাব, ‘‘লকডাউনে অত দিন বন্ধ মেগা। রেটিং তলানিতে ঠেকবে, এটাই ধরে নিয়েছিলেন সবাই। এই চিন্তাও মাথায় ভিড় করেছিল,করোনা আবহে লোকে খবর দেখা ছেড়ে কি ‘কৃষ্ণকলি’ দেখবে?’’

ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুরা। ছবি- রিমঝিম মিত্রের ফেসবুক

৪ দিনের বন্দিদশা কাটিয়ে শুট শুরুর কিছুদিনের মধ্যেই প্রথমে বিভান, তারপর নীল আক্রান্ত করোনায়। সেই সময় ‘নিখিল-শ্যামা’র চেয়েও গল্পের ফোকাসে ‘অশোক-দিশা’। আতঙ্ক ঘিরে ধরল সবাইকে। মেগা এগোবে কী করে?

‘’এই সময় সবচেয়ে বড় মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন প্রযোজক সুশান্ত দাস’’, জানালেন ‘দিশা’। পরিস্থিতি বুঝে বিভান-রিমঝিমের থেকে গল্পের মোড় ঘুরিয়ে দেন শুধু রিমঝিমের দিকে। সবার সাহায্যে সেই চাপও সামলে নিয়েছেন অভিনেত্রী।ক্ষোভও ঝরল গলা থেকে, ‘‘সেই সময় দায়িত্ব নিয়ে রটানো হয়েছিল, ‘কৃষ্ণকলি’ ইউনিটের প্রত্যেকের নাকি করোনা হয়েছে! শুট বন্ধ। শুনতে শুনতে মানসিক চাপ বেড়ে যাচ্ছিল। দুঃখের কথা, ইন্ডাস্ট্রির লোকেরাই বেশি বলেছেন বাইরের লোকের থেকে। তখনই অনুভব করলাম, ভালবাসেন হয়ত অনেকেই। কিন্তু সবাই ভাল চান না।’’

গাঁজার নেশা ছিল সুশান্তের! মৃত্যুর দিন সেই প্যাকেট ছিল ফাঁকা, পরিচারকের বক্তব্যে বাড়ছে রহস্য

তিয়াসার মতো রিমঝিমের কখনও পজিটিভ চরিত্রে অভিনয় করতে ইচ্ছে করে না? ‘‘অলরেডি করছি! স্টার জলসার ‘তিতলি’-তে। এক সঙ্গে নেগেটিভ, পজিটিভ চরিত্র করতে ভীষণ মজা লাগছে।’’আরও মজার কথা, ‘কৃষ্ণকলি’-তে যে রাজীব বসু রিমঝিমের ভয়ঙ্কর ‘শত্রু’, ‘তিতলি’-তে তিনিই স্বামী! ‘‘সেখানে কী প্রচণ্ড প্রেম আমাদের’’,রসিকতা রিমঝিমের।

চরিত্রে যেমনই হোক, বাস্তবে পজিটিভ থাকতে কী করেন রুবি মিত্রের মেয়ে? হালকা গলায় উত্তর, ‘‘পাঁচটি ছানা-সহ বাড়িতে সাতটি সারমেয়। কাজ থেকে ফিরে ওদের সঙ্গে কাটালেই আমি ফ্রেশ। লকডাউনের দুটো দিন তো ওদের নিয়েই হুল্লোড় করতে করতে কেটে গেল।’’

ছুটির দিন এলে এখনও ডায়েট ভুলে রিমঝিমের পাতে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে উঁকি মারে গার্লিক মাটন, চিলি চিকেন, পাস্তা বা মিষ্টি দই। সুযোগ পেলেই ঘুরতে ভালবাসেন পাহাড়ি পথের পাকদণ্ডী বেয়ে। অভিনয়ের পাশাপাশি স্বচ্ছন্দ রাজনীতিতে। রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে সোশ্যালে মন্তব্যও করেন তিনি। এক বছর আগে যোগদান করেছেন গেরুয়া শিবিরে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement