ষাটের দোরগোড়ায় এসে অক্ষয়ের মতো ফিটনেস বজায় রাখতে পারা মুখের কথা নয়। ছবি: সংগৃহীত।
৫৬ বছর বয়সে পর্দায় যে ভাবে হাজির হন অক্ষয় কুমার, তা যে কোনও অভিনেতার জন্যই অনুপ্রেরণার। বলিউডে পেশিবহুল নায়কের অভাব নেই। কিন্তু ষাটের দোরগোড়ায় এসে এমন ফিটনেস বজায় রাখতে পারা মুখের কথা নয়। তিনি যতটা রোম্যান্টিক হিরো, ঠিক ততটাই তিনি অ্যাকশন হিরো। পর্দায় কম বয়সি নায়িকাদের হিরো হয়ে উঠতে বিশেষ প্রস্তুতির দরকার হয় না অক্ষয়ের। কারণ, সারা বছর তিনি একটি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলেন। শারীরিক সক্ষমতা হার মানাবে নতুন প্রজন্মের যে কোনও নায়ককে। যদিও অক্ষয় গত কয়েকবছর ধরে বক্স অফিসে সাফল্যের মুখ দেখেননি। যে ছবিতে হাত দিয়েছেন সেটাই ব্যর্থ। যদিও তাতে নাকি তাঁর পারিশ্রমিকে বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়েনি। ছবি পিছু নাকি তিনি ৬০ কোটি থেকে ১৪৫ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিচ্ছেন।
তবে, সত্যিই কি কোনও প্রযোজক এই বিপুল পরিমান অর্থ দিতে রাজি তাঁকে! সত্যিটা জানালেন অক্ষয় নিজেই।
এমনিতেই বলিউডে বড় তারকারা আজকাল পারিশ্রমিক নেন না। তাঁদের মূল আগ্রহ থাকে লভ্যাংশে। সিনেমার আয় ভাল হলে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা নেন তারকারা। যেমনটা করে থাকেন শাহরুখ খান বা অজয় দেবগন। সেই হিসাবেই পিছিয়ে নেই অক্ষয়। তিনি ছবি পিছু নেন প্রায় ৬০ কোটি টাকা। কখনও সেই অঙ্কটা নাকি পার করে ১০০ কোটিও। যদিও গত কয়েক বছর ধরে সময়টা ভাল যাচ্ছে না তাঁর। একের পর এক ছবি বক্স অফিসে প্রায় মুখ থুবড়ে পড়েছে। তবে পারিশ্রমিকের দিকে নড়চড় নেই তাঁর। তিনি সম্প্রতি তাঁর বিশাল অঙ্কের পারশ্রমিক প্রসঙ্গে জানান, ছবি সাফল্য পেলে যেমন অংশীদারিত্ব পান। তেমনই অনেক ছবির ক্ষেত্রে এমনও হয়েছে কোনও টাকাই নেননি তিনি। অক্ষয়ের কথায়, ‘‘আজকাল আমি কোনও ছবির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলে কোনও টাকা নিই না। বরং অংশীদারিত্ব নিই। ছবি কাজ করলে টাকা পাই। না চললে কোনও টাকাই নিই না।’’ সম্প্রতি ‘বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা’ ছবির প্রযোজক দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিলেন নাকি তারকার টাকা মেটাতে গিয়ে। এ দিকে ছবি বক্স অফিসে এক ফোঁটা কোনও কামাল দেখাতে পারেনি। এ বার কি সেটার ব্যাখাই দিলেন অভিনেতা!