Celeb Life

‘তিমিরমামার মতো বড় চুল রাখব, মাথা নাড়লেই নড়বে!’ খুদে জোনাকের কথা জানেন ‘ফকিরা’ গায়ক?

বাংলার প্রায় সমস্ত গায়কের গান জোনাক নিয়মিত শোনে। গান শুনতে খুব ভালবাসে। কারণ, ছোট থেকে কার্টুন দেখিয়ে নয়, গান শুনিয়ে ছেলেকে বড় করছেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:২০
Share:

স্নেহা চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে জোনাক গায়ক তিমির বিশ্বাসের ভক্ত। ছবি: ফেসবুক।

রবিবাসরীয় বিকেল, অভিনেত্রী স্নেহা চট্টোপাধ্যায়ের সাড়ে তিন বছরের ছেলে জোনাক ভৌমিক গিটার হাতে অলস মেজাজে। আধো স্বরে একের পর এক বাংলা গান গাইছে সে। মনের সুখে নিজেকে খ্যাতনামী গায়কদের আসনে বসিয়ে। প্রথম গান গাওয়ার আগে অনু্ষ্ঠান শুরুর আগের ঢঙে ঘোষণা, “নমস্কার, আমার নাম রূপম”। তার পরেই তার কণ্ঠে রূপম ইসলামের গাওয়া গান। এ ভাবেই সে কখনও তিমির, কখনও দেবদীপ। এই পর্যন্ত ঠিক ছিল। কিন্তু হঠাৎই জোনাক ঘোষণা করল, ‘নমস্কার, আমার নাম অজয় চক্রবর্তী’। আর থাকতে পারেননি স্নেহা, ছেলেকে থামিয়ে দিয়েছেন!

Advertisement

সে কথা তিনি ভাগ করে নিয়েছেন সমাজমাধ্যমে, “দৌড়ে গিয়ে কোনও রকমে চেপে ধরে থামালাম।” কেন থামালেন ছেলেকে? জানতে যোগাযোগ করেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। অভিনেত্রীর যুক্তি, “আরে! পণ্ডিতজি কি ছেলেখেলার মতো নাম?” সঙ্গে সঙ্গে স্নেহা এ-ও যোগ করেছেন, তাঁর ছেলে যাঁদের নাম করেছেন তাঁরা কেউই ‘ছেলেখেলা’র যোগ্য নন। কিন্তু পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী নামটাই এত ভারী যে, ওই ভার বহনের ক্ষমতা কেবল খ্যাতনামীর। তাই তিনি আটকেছেন ছেলেকে।

কথায় কথায় তখনই জানা গিয়েছে, অভিনেত্রীর ছেলে ‘ফকিরা’ ব্যান্ডের গায়ক তিমির বিশ্বাসের অন্ধ ভক্ত। স্নেহার কথায়, “তিমিরদার ব্যান্ডের সমস্ত গান ওর মুখস্থ। নিয়মিত শোনে। বায়না করে, কিছুতেই চুল কাটবে না! ওঁর মতো লম্বা চুল রাখবে। নইলে গানের তালে মাথা নাড়লে যে নড়বে না!” ছেলেকে নাকি কিছুতেই বাগে আনতে পারছিলেন না অভিনেত্রী। শেষে ব্যান্ডের এক বাদ্যযন্ত্রীর উদাহরণ দেন তিনি। জানান, ওই বাদ্যযন্ত্রীর ছোট চুল। তবু তিনি তিমিরের ব্যান্ডে রয়েছেন। তখন খুদের বায়না থামে।

Advertisement

তাঁর যে এ রকমও এক জন খুদে অন্ধ ভক্ত রয়েছে, জানেন তিমির? আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল গায়কের সঙ্গেও।

গায়ক বলেছেন, “হ্যাঁ, স্নেহার মুখ থেকে শুনেছি। এগুলোই আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পাথেয়, টাটকা অক্সিজেন।” খুদে শ্রোতাদের কথা ভেবে কোনও গান বা শো করবেন? তিমিরের দাবি, “জোনাকের মতো আরও অনেক শিশু রয়েছে যারা আমাদের গান শুনে খায় বা ঘুমোয়। অর্থাৎ, আমাদের গান ওরা বুঝতে পারছে। ফলে, আলাদা করে শুধু ওদের জন্য কিছু করতে যাব কেন?” আরও জানান, কিছু শ্রোতার দাবি, ‘ফকিরা’র গান নাকি শুধুই এই প্রজন্মের জন্য। আগামী প্রজন্মও যে তিমিরের দলের গান শোনে, জোনাক তার প্রমাণ।

নিজের ছেলের প্রসঙ্গে স্নেহা আরও জানিয়েছেন, শুধুই তিমির নন, বাংলার প্রায় সমস্ত গায়কের গান জোনাক নিয়মিত শোনে। গান শুনতে খুব ভালবাসে। কারণ, ছোট থেকে কার্টুন দেখিয়ে নয়, গান শুনিয়ে ছেলেকে বড় করছেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement