সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
প্রতি বছরের ধুমধাম এ বছর কম। পুজোর আগেই আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছিলেন, আড়ম্বরহীন পুজো করবেন। কিন্তু এত বছরের নিয়মে ত্রুটি রাখবেন না। সেই কথা মনে রেখেই অসুস্থ অবস্থায় দেবীবরণ সারলেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, “আচমকা কোমরে ব্যথা। উঠতে পারছিলাম না। ইঞ্জেকশন নিলাম। একটু বিশ্রাম নিয়ে আমার দায়িত্ব পালন করব।” সেই মতোই সবাইকে দুর্গার মুখ আঁকা শাড়িতে সাজিয়ে দেবীকে বিদায় জানালেন অভিনেত্রী-সঞ্চালিকা। চোখে জল মুখে হাসি নিয়ে দেবীকে আমন্ত্রণ জানালেন চট্টোপাধ্যায় বাড়ির কর্তা অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়। প্রতিমার সামনে জোড়হাতে বললেন, “আবার এসো মা।”
ছবি: সংগৃহীত।
চট্টোপাধ্যায় পরিবারের নিয়ম, নতুন শাড়ি পরিয়ে দেবীকে বিদায় জানানো। সেই অনুযায়ী, লাল পাড় শাড়ি নিজের হাতে প্রতিমাকে পরিয়ে দেন সুদীপা। নেপথ্যে তখন ঢাক, কাঁসর, শঙ্খ, উলুধ্বনি। শাড়ি পরানোর পর সাত সধবা মিলে দেবীকে প্রদক্ষিণ। শেষে পানপাতা দিয়ে প্রত্যেক দেবতার মুখ মোছানো।
ছবি: সংগৃহীত।
সুদীপার আচার অনুষ্ঠানে কোনও ত্রুটি নেই। ছোট ছেলে আদিদেব তখন মায়ের শাড়ির আঁচল ধরে দাঁড়িয়ে।
ছবি: সংগৃহীত।
বরণের পালা মিটতেই সিঁদুরখেলা শুরু। সঙ্গে 'আসছে বছর আবার হবে'র আশ্বাস, ধুনুচি নাচ। সব মিলিয়ে চট্টোপাধ্যায় বাড়ি গমগম করছে! অগ্নিদেবের হাতে সিঁদুর পরে এ বছরের মতো সিঁদুরখেলা সাঙ্গ সুদীপার।