ঊষসী চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত।
এ বার ওঁদের পুজো অন্য রকম। প্রতি বার মেয়ে নিজে হাতে পুজোর আয়োজন করতেন। আর এ বার মেয়েই নেই। অষ্টমীর বিকেলে আরজি কর-কাণ্ডের নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন ঊষসী চক্রবর্তী, দেবলীনা দত্ত, চৈতি ঘোষাল ও সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে সমাজমাধ্যমে ঊষসী লিখলেন, “এ বারের অষ্টমী। কিছু বলার নেই। ”
চলতি বছরের পুজোয় চেষ্টা করেও ভাল থাকতে পারলেন না বলে জানান ঊষসী। তিনি লেখেন, “কেউ হয়তো ভাবতে পারেন মানুষ হিসেবে আমরা খুব মনমরা। তাই পুজোর সময়ে শরীর মন অবসন্ন হয়ে আসে এমন সব পোস্ট করছি। কিন্তু বিশ্বাস করুন এইবার পুজোতে ভাল থাকতে পারলাম না। আপনাদের আনন্দে বাধ সাধতে চাই না। বুঝতে পারছি একটাই পুজো। ক'দিনের ছুটি, ব্যবসা পত্র, অর্থনীতি সব বুঝতে পারছি।”
পুজোয় শামিল হলেও, আরজি করের মৃতার কথা মনে রাখার অনুরোধ করেছেন ঊষসী। তাঁর কথায়, “পুজোয় থাকুন। কিন্তু আনন্দ করতে করতে একটু মনে রাখুন সরকারি হাসপাতালে কর্মরত এক মেধাবী চিকিৎসক কাজে গিয়ে আর বাড়ি ফিরতে পারেননি। এটাও আমাদেরই বাস্তব। কোনও ভিনগ্রহের নয়।”
নির্যাতিতার মায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন ঊষসী। তরুণী চিকিৎসক কলেজে বা কাজের জায়গায় পৌঁছনোর পর ফোন করে বলতেন, “মা পৌঁছে গিয়েছি। নির্যাতিতার মায়ের কথায়, “তখন নিশ্চিন্ত হতাম। কাজের জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। আর কোনও চিন্তা নেই। কিন্তু সেই কাজের জায়গাতেই যে...”
ঊষসী লেখেন, “বাক্য শেষ করতে পারেননি কাকিমা। কিন্তু ভেবে বলুন তো এটা আমাদের সব মেয়েদের বাস্তব নয়? কাজের জায়গায়, বা কলেজে ঢুকে বাড়িতে ফোন করলে আমাদের বাবা-মাও তো নিশ্চিন্ত হন এই ভেবে যে কলেজে বা অফিসে পৌঁছে গিয়েছে। এ বার নিশ্চিন্ত। আর কোনও বিপদ হবে না।”
পোস্টের শেষে অভিনেত্রী প্রশ্ন তোলেন, “আরজি কর একাধারে কলেজ এবং কাজের জায়গা। সেখানে যখন কিছু হয়, মা-বাবা কোথায় তাদের সন্তানকে পাঠিয়ে নিশ্চিন্ত থাকবে বলুন তো? কর্তব্যরত চিকিৎসকের যদি সুরক্ষা না থাকে আমি বা আপনি কি আদৌ সুরক্ষিত?”