Rupanjana Mitra

শালীনতার সীমা ছাড়াচ্ছে! সমাজমাধ্যমে অবাধ বাক্‌-স্বাধীনতায় প্রশ্ন তুলছেন রূপাঞ্জনা

সমাজমাধ্যম খ্যাতনামী-সহ যে কোনও মানুষকে আক্রমণ করার অবাধ স্বাধীনতা দেয়। এমনকি টলিপাড়ার তারকাদের মধ্যেও নানা বিষয় নিয়ে কোন্দল লেগেই রয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:১৮
Share:

রূপাঞ্জনা মিত্র। ছবি: সংগৃহীত।

সমাজমাধ্যমে কি ভাষার শালীনতা বজায় থাকছে না। যে কোনও বিষয়ে যেমন খুশি মন্তব্য করে অন্যকে আক্রমণ করছেন। ক্রমশ কি মানুষের মধ্যে এই প্রবণতা জাঁকিয়ে বসছে? এমনই কিছু প্রশ্ন উঠল রূপাঞ্জনা মিত্রের পোস্টে। দুর্বৃত্তদের সংশোধন করার আগে নিজেকে শোধরানো উচিত। এমনই দাবি অভিনেত্রীর।

Advertisement

সমাজমাধ্যম খ্যাতনামী-সহ যে কোনও মানুষকে আক্রমণ করার অবাধ স্বাধীনতা দেয়। এমনকি টলিপাড়ার তারকাদের মধ্যেও নানা বিষয় নিয়ে কোন্দল লেগেই থাকে। আনন্দবাজার অনলাইনকে রূপাঞ্জনা বলেন, “খারাপ ভাষা ব্যবহার করলে সেখানে নিজের শিক্ষা ও রুচিবোধই প্রতিফলিত হয়। অথবা সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকেই হয়তো কারও মেজাজ খুব খারাপ, তার প্রতিফলন দেখা গেল সমাজমাধ্যমে। আমাদের সকলের বাক্‌-স্বাধীনতা রয়েছে। কিন্তু এই স্বাধীনতা তো আর অশালীন ভাষা ব্যবহারের ছাড়পত্র হতে পারে না। বাক্‌-স্বাধীনতার মর্যাদা যেন থাকে। মতান্তর হতেই পারে। কিন্তু, সেটা কাদা ছোড়াছুড়ি ও ব্যক্তিগত আক্রমণের জায়গায় চলে যাচ্ছে ক্রমশ। ‘চটি চাটা’, ‘পাপ্পু’, ‘গোদি মিডিয়া’— এমন প্রতিটি শব্দই খুব অসম্মানজনক।”

সোমবার সকাল থেকেই তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ও দেবাংশু ভট্টাচার্যের একটি পোস্ট সমাজমাধ্যমের আলোচনার কেন্দ্রে। অভিনেত্রী মৌসুমী ভট্টাচার্যের একটি মন্তব্য নিয়ে সমস্যার সূত্রপাত। নেটাগরিকের একাংশের মত, অভিনেত্রী হুমকি দিয়েছেন। কিন্তু মৌসুমীর মন্তব্যের পাল্টা দিতে গিয়ে কুণাল ঘোষ ও দেবাংশুর মন্তব্যও নিন্দিত হচ্ছে সমাজমাধ্যমে।

Advertisement

রূপাঞ্জনা এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “মৌসুমীর পুরো বক্তব্যের থেকে হয়তো কিছু অংশ সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। জনরোষ থেকে এই ধরনের মন্তব্য করে ফেলেন মানুষ। মৌসুমীও ক্ষিপ্ত জনগণের মতোই মন্তব্য করেছেন। মানুষ আবেগপ্রবণ হয়ে অনেক কিছু বলে দেয়। কিন্তু,আমি মনে করি বয়োজ্যেষ্ঠ এবং পদাধিকারী হিসাবে কুণাল ঘোষের উচিত ছিল সংযত মন্তব্য করা।”

‘রাত দখল’-এর প্রসঙ্গও উঠে আসে রূপাঞ্জনার কথায়। তিনি বলেন, “এক দিকে রাত দখলের মতো কর্মসূচি চলছে মহিলাদের জন্য। লিঙ্গ সমতার কথা বলা হচ্ছে। কুণাল ঘোষ তো একটা বড় পদে আছেন। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের মুখপাত্র হিসেবে এই কথাগুলো ওঁর মুখে শোভা পায় না। এর মধ্যে কোনও কৌতুকরসও নেই। এটা একেবারেই সমর্থনযোগ্য নয়।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement