প্রতিবাদ মিছিলে কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: নিজস্ব।
বৃষ্টির বিরাম নেই। তাকে উপেক্ষা করে প্রতিবাদ মিছিলে পা মেলানোও থমকে নেই। রবিবার সন্ধ্যায় এমনই এক মিছিলেন সাক্ষী দক্ষিণ কলকাতা। ইন্দ্রপুরী স্টুডিয়ো থেকে দেশপ্রিয় পার্ক পর্যন্ত প্রতিবাদী মিছিলের আয়োজন করেছিলেন ছোট পর্দার তারকারা। তাঁরা সমস্বরে ধ্বনি তুললেন, ‘পুলিশ তুমি যতই মারো, তোমার মেয়েও হচ্ছে বড়’ কিংবা ‘বিচার চাইছে জনতা, উত্তর দাও ক্ষমতা’। সেই মিছিলের সাক্ষী আনন্দবাজার অনলাইন। পথ চলতে চলতেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “কুর্নিশ মৃতাকে। আরজি করের তরুণী চিকিৎসক নিজের জীবন দিয়ে সমাজের সব স্তরের মানুষকে এক করে দিয়ে গেলেন।”
অভিনেত্রীর চোখে তাই তিনি ‘শহিদ’। তাঁর আবেগ তাঁকে দিয়ে বলিয়ে নিয়েছে, “এত দিনে সকলের চোখের ঠুলি খুলল। আমরা বুঝলাম, কোনও কিছু চাইতে গেলে একজোট হতে হবে। এই প্রথম বার কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা আর বিচ্ছিন্ন নেই। সকলে পথে ওই একটি মেয়ের জন্য।” একই সঙ্গে প্রশ্নও তুলেছেন, এখনও যদি ‘বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে’, তা হলে সুবিচার আসবে কবে?
কনীনিকা নিজেও এক মেয়ের মা। এই নারকীয় ঘটনা কি তাঁকে মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে?
অভিনেত্রীর আশঙ্কা, তিনি জানেন না, কোন পৃথিবীতে তাঁর মেয়েকে রেখে যাবেন! শুধুই নিজের মেয়ে নয়, তিনি সমগ্র নারীজাতির জন্য চিন্তিত। সেই অনুভূতি থেকে ন্যায়বিচারের পাশাপাশি তাঁর দাবি, মেয়েদের জন্য নিরাপত্তা আরও জোরালো করতে হবে। তিনিও কি অন্য অনেকের মতোই শাসকদলের প্রতি ভরসা হারিয়েছেন? প্রশ্নের জবাবে কনীনিকার উত্তর, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে আস্থা হারাচ্ছি না। তিনিও নারী। তাঁর স্লোগানে মা-মাটি-মানুষের কথা। তাই আশা, আগামী দিনে তিনি যা করবেন, মেয়েদের মুখ চেয়েই করবেন।”