বড় পদক্ষেপ হিনা খানের। ছবি: সংগৃহীত।
প্রথম কেমো নেওয়ার পরে ক্যামেরার সামনেই সাধের লম্বা চুল কেটে ফেলেছিলেন হিনা খান। ছোট চুলে মেয়েকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন হিনার মা। আর এ বার নিজে হাতেই মাথা কামিয়ে ফেললেন অভিনেত্রী। সেই ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে শেয়ারও করলেন নিজেই।
কয়েক মাস আগে হিনা জানান, তিনি স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত। ক্যানসারের তৃতীয় পর্যায় চলছে। মারণ রোগের সঙ্গে লড়াইয়ের নানা পর্ব সমাজমাধ্যমে তুলে ধরছেন হিনা। উদ্দেশ্য, ক্যানসার আক্রান্ত মানুষদের মনের জোর বাড়ানো। সেই মতোই মস্তক মুণ্ডনের ভিডিয়ো নিজে হাতেই শেয়ার করলেন তিনি। কেমো নেওয়ার পরে ক্যানসার আক্রান্তদের চুল উঠতে থাকে, যা খুবই বেদনাদায়ক। তাই একেবারে মাথার সব চুল কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান অভিনেত্রী।
ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, মুঠো মুঠো চুল উঠে গিয়েছে হিনার। ঘরের মেঝেতে অথবা বালিশে পড়ে রয়েছে চুলের গোছা। এই মানসিক যন্ত্রণা দূর করতে পরিস্থিতি মেনে নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন তিনি। হিনা তাঁর ভিডিয়োয় বলেন, “আমি কাজ করতে চাই। খুশি থাকতে চাই। এমন ভাবে থাকতে চাই, যাতে এই কঠিন সফরে মানসিক যন্ত্রণা না হয়।”
গোছা গোছা চুল উঠে যাওয়ার বিষয়ে হিনা বলেছেন, “এই বিষয়টা সত্যিই খুব বেদনাদায়ক। আমি এই বিষণ্ণতার মধ্যে দিয়ে যেতে চাই না। তাই আমার আয়ত্তের মধ্যে যা আছে, সেটাই করতে হবে। আমি জানি, এই কাজ কতটা কঠিন। কিন্তু মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে নিজেকে রাখবেন না। তাই চুল সব ঝরে পড়ার আগে নিজেই কেটে ফেলুন। আমি সেটাই করতে চলেছি। মনে রাখবেন, আপনি সব সময় সুন্দর। সেটা কোনও ভাবেই বদলে যাবে না। বলা ভাল, আপনি আরও সুন্দর হয়ে উঠবেন। নিজের নতুন রূপকে ভালবাসুন।”
হাসিমুখে এই বার্তা দিয়ে এবং ঈশ্বরকে স্মরণ করে চুল কাটতে উদ্যত হন হিনা। অভিনেত্রী জানান, ন্যাড়া মাথাতেও তিনি একই রকম আত্মবিশ্বাসী থাকবেন। একই ভাবে এই নতুন চেহারা তিনি বহন করবেন। কখনও কাজের জন্য হয়তো পরচুলা পরতে পারেন। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে তিনি ন্যাড়া মাথাতেই প্রকাশ্যে আসবেন।