সব্যসাচী চৌধুরী, সৌরভ দাস দ্বিতীয় রেস্তরাঁ খুলছেন। ছবি: ফেসবুক।
বিনোদন দুনিয়ায় কাজের স্থায়িত্ব কম, এমনই মত এই পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষদের। শুধুমাত্র স্বল্প পরিচিত শিল্পীরাই নন, ভুক্তভোগী খ্যাতনামীরাও। তাই অভিনয়ের পাশাপাশি বাণিজ্যিক ক্ষেত্রেও পা রাখছেন তাঁরা। এর মধ্যে জনপ্রিয়, রেস্তরাঁর ব্যবসা। বলিউড তো বটেই, ইদানীং টলিউডের শিল্পীদের মধ্যেও এই প্রবণতা উত্তোরত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বলিউডে মিঠুন চক্রবর্তী, অক্ষয় কুমার-সহ তাবড় তারকাদের নিজস্ব রেস্তরাঁ রয়েছে। টলিউডও কিন্তু একেবারে পিছিয়ে নেই। দেবের রেস্তরাঁ রয়েছে। জনপ্রিয় সৌরভ দাস-সব্যসাচী চৌধুরীর রেস্তরাঁও রয়েছে। যদিও অনিশ্চিত পেশার কারণে তাঁরা বাণিজ্যে মনোনিবেশ করেছেন, এমন নয়। জানা গিয়েছে, সৌরভ-সব্যসাচী দ্বিতীয় রেস্তরাঁ খুলতে চলেছেন চলতি মাসে।
কিছু দিন আগে কাজের অভাবে প্রায় একই পথে হেঁটেছেন পরিচালক অয়ন সেনগুপ্ত। টানা দু’বছর বসে থাকার পর অন্ন সংস্থানের কারণে তিনি ফুটপাতে মুখরোচক খাবারের দোকান দিয়েছেন। ভবিষ্যতে তাঁদের যাতে এই সমস্যায় পড়তে না হয় সেই ভাবনা থেকেই কি দ্বিতীয় রেস্তরাঁর ভাবনা? আনন্দবাজার অনলাইনের প্রশ্নে সৌরভ-সব্যসাচী জানালেন, তাঁদের ক্ষেত্রে বিষয়টি খানিক আলাদা।
সব্যসাচীর দাবি, “সৌরভ কাজের চাপে দম ফেলার সুযোগ পান না। তাই রেস্তরাঁর দেখভাল তুলনায় আমি বেশি করি।” পাশাপাশি এ-ও স্পষ্ট করে দিলেন, তার মানে এই নয় যে তাঁর হাতে কাজ নেই। আপাতত ধারাবাহিক থেকে দূরে অভিনেতা। বদলে লেখালিখি, ছোট ছবি পরিচালনা নিয়ে ব্যস্ত। একই কথা জানিয়েছেন সৌরভও। তাঁদের কথায়, “অভিনয়ের কাজ কম পাচ্ছি তাই রেস্তরাঁয় মন, এমন হলে এত দিনে শহরে তিনটে রেস্তরাঁ চেন হত। সেটা নয় বলেই দ্বিতীয় রেস্তরাঁ খুলতে ১০ মাসেরও বেশি সময় লেগে গেল।”
সৌরভের কথায়, “অভিনয় আমাদের পেশা। রেস্তরাঁ আমাদের প্যাশন। সেই জায়গা থেকেই এই পথে হাঁটা। যাতে পেশাও থাকে, প্যাশনও। কাজ নেই বলে বা আগামীতে যদি কাজ না থাকে— এই ভাবনা থেকে রেস্তরাঁ খুলেছি, এই ভাবনা অমূলক।”