‘কথা’ ধারাবাহিকে সুস্মিতা দে, সাহেব ভট্টাচার্য। ছবি: ফেসবুক।
বৃহস্পতিবার সাহেব ভট্টাচার্যের বাড়িতে পার্টি! উদ্যাপনের কারণ? ধারাবাহিক ‘কথা’র মুকুটে তিনটি পালক। সেরা জুটি, সেরা ধারাবাহিকের পুরস্কার পেয়েছেন সদ্য। বৃহস্পতিবার রেটিং চার্টে প্রথম স্থানে স্টার জলসার এই ধারাবাহিক। রকমারি চিনা খাবারের গন্ধে ম-ম নায়কের বাড়ি। ছোট পর্দায় অনেক দিন পরে প্রত্যাবর্তন। সাহেব আবারও হিট। রহস্যটা কী?
নেপথ্যে নানা কণ্ঠের কলতান! তারই মধ্যে নায়ক আনন্দবাজার অনলাইনকে ফোনে বললেন, “আমরা প্রত্যেকে পরিশ্রমী। চিত্রনাট্য খুঁটিয়ে পড়ি। ক্যামেরার সামনে যাওয়ার আগে সকলে মিলে অভ্যাস করে নিই। পরিচালক সুমন দাস এ ভাবেই আমাদের তৈরি করেছেন। তার ফল তো ফলবেই।” সেই সঙ্গে জোরালো চিত্রনাট্যের কথা জানাতেও ভোলেননি তিনি। সমস্যার বেড়াজালে বন্দি থাকতে থাকতে মানুষ ক্লান্ত। এই ধারাবাহিক কৌতুকের মোড়কে ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এটাও মনে রাখতে হবে, বক্তব্য তাঁর।
সাহেবের মতে, “এত কিছু ভাল এক জায়গায় জড়ো হলে সেটি ইতিবাচক কিছুই হবে।” আর একাধিক ছদ্মবেশ, চিতাবাঘের সঙ্গে লড়াই? অস্বীকার করেননি তিনি। “পর্বে পর্বে যত চমক ততই রেটিং চার্টে ভাল ফল। আমাদের প্রত্যেকের অভিনয় দর্শকের প্রিয়।” সাহেবের পরিশ্রমও বৃথা যায়নি? এত দিন পরে ফিরে জনপ্রিয়তার জোয়ারে ভাসছেন! নায়কের কথায়, “মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, নিজের সেরাটা দেব। আমার তরফ থেকে এর বেশি কিছুই বলার নেই।”
প্রত্যেকের অভিনয় ভাল, ‘এভি-কথা’র রসায়নের কোনও ভূমিকাই নেই? “দুষ্টু প্রশ্ন”, জবাব এল ততক্ষণাৎ। বললেন, “হ্যাঁ, দর্শক আমাদের জুটিকে পছন্দ করছেন। সমাজমাধ্যমে আমাদের ছবি, ধারাবাহিকের দৃশ্য রিল আকারে ভাগ করা হচ্ছে। আমরাও করছি। এটাও বড় প্রচার।” এই প্রথম মুখোমুখি সাহেব আর সুস্মিতা ভট্টাচার্য। আগে চেনাজানা ছিল না। তবু প্রথম কাজেই এত গাঢ় রসায়ন! কী করে সম্ভব? এ বার নায়কের থেকে টানটান জবাব এল, “দীর্ঘ দিন অভিনয় করতে করতে বুঝেছি, প্রথম ধারাবাহিকেই হয় নায়িকার সঙ্গে রসায়ন তৈরি হবে, না হলে নয়।”