পর্দার ‘বামাখ্যাপা’।
ছবির দুনিয়া আর বাস্তব যেন মিলেমিশে একাকার। রামপ্রসাদ মাইতির আমন্ত্রণে তারা মায়ের পুজোয় উপস্থিত স্বয়ং ‘সাধক বামাখ্যাপা!’ নিজের হাতে মাকে খাইয়েও দিলেন অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী! পরনে লাল টকটকে পাঞ্জাবি। গলায় বাসন্তী উত্তরীয়। এত দিন এই দৃশ্য ছোট পর্দায় সবাই দেখে এসেছেন। সব্যসাচীর কথায়, সেই দৃশ্য সামনে দেখে আপ্লুত জুজারশাহ এলাকাবাসী। পুজো শেষ হতেই সবাই সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করে অভিনেতার আশীর্বাদও নিয়েছেন!
স্টার জলসার ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’-এর সাধক হঠাৎ ডোমজুড় টোলট্যাক্সের পুজোয়? আনন্দবাজার ডিজিটালকে অভিনেতা বলেছেন, ‘‘রামপ্রসাদ মাইতি প্রতি বছর অঞ্চলে এই সময় বড় মায়ের পুজো করেন। গত বছরেও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। করোনার কারণে যেতে পারিনি। এ বছর মায়ের টানেই চলে গিয়েছি। কিছুক্ষণ ছিলাম। মনটা ভরে গেল।’’ শুধু উপস্থিত থেকেছেন তাই নয়, নিজের হাতে মায়ের পুজো সেরেছেন তাঁর ‘রিল ছেলে’। ভক্তদের দেওয়া মালা পরিয়ে সাজিয়েছেন মাকে। ভোগ, প্রসাদ খাইয়ে দিয়েছেন নিজের হাতে। একই পাত্র থেকে সেই খাবার তুলে নিজেও খেয়েছেন। ঠিক সাধক যেমন করতেন। এমনকি জল খাইয়েও সেই জল নিজের জিভে ঠেকিয়েছেন। সব্যসাচীর কথায়, ‘‘পর্দায় যা যা করি, এখানেও তেমনই করেছি। এতেই আমি অভ্যস্ত। এতেই আমার মনের আরাম।’’ খাইয়েদাইয়ে মায়ের গাল ছুঁয়ে আদর করতেও ভোলেননি তিনি।
পর্দার ‘বামাখ্যাপা’ তাঁদের এলাকা আসছেন, জানতে পেরেই প্রচুর দর্শনার্থী ভিড় জমিয়েছিলেন পুজোর সময়। অভিনেতার দাবি, শুধু চোখের দেখা বা নিজস্বী তোলা নয়। ভক্তরা রীতিমতো পা ছুঁয়ে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম সেরেছেন। ‘‘বড় অস্বস্তি হয় তখন। মনে মনে সাধককে স্মরণ করে বলি, এ সবই তোমার পাওনা। আমি নিমিত্তমাত্র’’, আন্তরিক ভাবে জানালেন অভিনেতা।