Bobby Deol

Anurita Jha: ববি আমার ছোট্টবেলার প্রেম, এখন দেখছি ‘বাবা নিরালা’ও ভারী মিষ্টি মানুষ: অনুঋতা

‘গ্যাংস অব ওয়াসিপুর’-এ শুরু। ‘আশ্রম’ সিরিজের তিনটি সিজনেই কাজ করছেন অনুঋতা ঝা। সেই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে।

Advertisement

পরমা দাশগুপ্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০২২ ১৩:০১
Share:

ববিকে দারুণ লাগে অনুঋতার।

সদ্য মুক্তি পেয়েছে ওয়েব সিরিজ ‘আশ্রম’-এর নতুন সিজন। তাই নিয়ে দর্শক মহলে শোরগোলের মাঝেই আনন্দবাজার অনলাইনের মুখোমুখি সিরিজের অভিনেত্রী অনুঋতা ঝা। কাজ থেকে প্রেম, অনর্গল সব নিয়েই।

Advertisement

প্রশ্ন: ‘আশ্রম’-এর তিন সিজনেই আছেন। এ বার নতুন কিছু আছে আপনার চরিত্রে?

Advertisement

অনুঋতা: হ্যাঁ, এ বার আমার চরিত্র ‘কবিতা’কে দর্শক দেখতে পাবেন একেবারে নতুন আলোয়।

প্রশ্ন: কী রকম?

অনুঋতা: ‘কবিতা’ সমাজের প্রান্তিক শ্রেণির মানুষ। ‘বাবা নিরালা’র যৌন লালসা, নিগ্রহ তাকে আরও কোণঠাসা করে দিয়েছিল আগের দুই সিজনে। এ বার তার ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু। তার জীবনেও যে বাঁচার সাধ আছে, মুক্তির আলো আছে, প্রেম আছে— সবটাই এ বার বুঝতে শিখবে সেই মেয়ে।

প্রশ্ন: সিরিজের আগের দুই সিজনে ‘কবিতা’ হওয়ার অভিজ্ঞতা কেমন?

অনুঋতা: সমাজের নিম্ন স্তরে, সুযোগ-সুবিধাহীন হয়ে বাঁচার লড়াই ছিল ‘কবিতা’র। তার মধ্যেই তার জীবনে এল চূড়ান্ত নিগ্রহ আর হেনস্থা। পিছিয়ে পড়া মেয়ের দুঃসহ দিনযাপন, তার দুঃখ-যন্ত্রণা, আবেগ-অনুভূতিকে ফুটিয়ে তোলাটাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল আমার কাছে। এবং প্রকাশ ঝা-র সঙ্গে কাজ করা তো স্বপ্নপূরণের মতো!

প্রশ্ন: বিহারে বড় হয়েছেন। এখনকার ওটিটি-র আঞ্চলিক স্বাদের গল্পে কাজ করতে সুবিধে হয়?

অনুঋতা: সেটা সত্যিই হয়। নব্বইয়ের দশকের বিহারে বেড়ে ওঠা, সেই জীবনযাপন এই ধরনের গল্পের চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করে অনেকটাই। আমার দিদার বাড়ি ছিল প্রত্যন্ত গ্রামে। ছোটবেলায় অনেক বার গিয়েছি সেখানে। তাই ও রকম গ্রামের মেয়ের কোনও চরিত্র অনায়াসে করতে পারব নিশ্চয়ই। পরবর্তী কালে মুম্বইয়ে পড়াশোনা, কেরিয়ার আবার ঝাঁ-চকচকে শহুরে চরিত্র করার উপযোগীও করে তুলেছে আমাকে।

প্রশ্ন: ‘গ্যাংস অব ওয়াসিপুর’-এ কেরিয়ার শুরু। তার পর?

অনুঋতা: প্রথম ছবিটাই সাংঘাতিক জনপ্রিয় হলেও তার পরে বেশ কিছু ছবিতে কাজ করেছিলাম। কিন্তু তার কোনওটাই বক্স অফিসে তেমন কিছু করে উঠতে পারেনি। দর্শক মনেও রাখেননি। এখন ওয়েব সিরিজে টানা কাজ করছি। এর পরে মাধবনের ছবি ‘রকেট্রি’ এবং ইমতিয়াজ আলির একটা ছবিতেও আছি আমি।

প্রশ্ন: আপনার যা বয়স, মাধবন নিশ্চয়ই এক সময়ের ‘ক্রাশ’ ছিলেন?

অনুঋতা: ছিলেন না আবার! ‘রেহনা হ্যায় তেরে দিল মেঁ’ দেখে... উফফ! তবে হ্যাঁ ববি দেওলও কিন্তু আমার ছোট্টবেলার প্রেম! (হা হা হাসি)

প্রশ্ন: বলেন কী! ‘বাবা নিরালা’র প্রেমে হাবুডুবু ‘কবিতা’?

অনুঋতা: হ্যাঁ, সত্যিই দারুণ লাগত কিন্তু ওকে ছোটবেলায়। এখন তার সঙ্গেই একসঙ্গে কাজ করছি। ভাবলেই খুশি হয়ে যাই! এখনকার ববি-ও কিন্তু ভারী মিষ্টি মানুষ! বরং এখন আরও বেশি ভাল লাগে! (হাসি)

প্রশ্ন: মাধবনকে তবে কেমন লাগে এখন?

অনুঋতা: ওঁকেও দুর্দান্ত লাগত। এখনও বেশ লাগে সিরিজে, ছবিতে। তবে দেখছি পরিচালক হিসেবে বেশ কড়া। দেখলেই মনে হয় একটু কিছু ভুল করলেই ব্যস! সাংঘাতিক বকুনি জুটবে কপালে। এখনও অবধি বকুনি খেতে হয়নি। তবে বেশ ভয়ে ভয়েই কাটাই সেটে!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement