আমির খান প্রোডাকশনসের ওই টুইট ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। ফাইল চিত্র।
কোনও ভাবে যদি আপনার ভাবাবেগে আঘাত দিয়ে থাকি, তা হলে ক্ষমা করে দেবেন। ‘লাল সিংহ চড্ডা’ ঘিরে বিতর্কের আবহে বলিউড অভিনেতা আমির খানের এমনই এক বক্তব্য প্রকাশ্যে এল। যা ঘিরে এই পর্বে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে বি-টাউনে।
‘মিচ্ছামি দুক্কাদম’ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে আমির খান প্রোডাকশনসের টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছিল। যেখানে বলা , ‘আমরা সকলেই মানুষ। আমরা ভুল করি। কোনও কোনও সময় আমরা ভুল কথা বলি, ভুল কাজ করি। কখনও না জেনে আবার কখনও রেগে ভুল করি। মজার ছলেও আমরা মানুষকে আঘাত করি, আবার কিছু না বলেও আঘাত করি। কোনও ভাবে যদি কারও ভাবাবেগে আঘাত দিয়ে থাকি, তা হলে ক্ষমা করে দেবেন।’ যদিও কিছু ক্ষণের মধ্যেই এই পোস্টটি মুছে ফেলা হয়।
বস্তুত, যে প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে আমিরের তরফে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলা হয়েছে, তা বাড়তি তাৎপর্য পেয়েছে। কেননা, অভিনেতার সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘লাল সিংহ চড্ডা’ ঘিরে দেশে বিতর্ক তৈরি হয়। ছবিটি ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছে বলে অভিযোগ করেন অনেকে। আমিরের এই সিনেমা বয়কটের ডাক দেওয়ার দাবি তোলেন কেউ কেউ। যার জেরে বক্স অফিসে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ে হলিউড অভিনেতা টম হাঙ্কস অভিনীত কালজয়ী ছবি ‘ফরেস্ট গাম্পে’র আদলে তৈরি এই সিনেমা।
তবে, এই কারণেই আমিরের এই ক্ষমাপ্রার্থনা কি না, তা স্পষ্ট হয়নি। এমনকি, নেটমাধ্যমে বৃহস্পতিবারের পোস্টটি আদৌ আমিরের পক্ষ থেকে করা হয়েছিল কি না, সে নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
পোস্টটি কেন পরে মুছে ফেলা হল, এ নিয়েও ধন্দ রয়েছে। ‘লাল সিংহ চড্ডা’ ছবি মুক্তির প্রাক্কালে বিতর্ক প্রসঙ্গে পিটিআই-কে আমির বলেছিলেন, ‘‘যাঁরা বয়কট বলিউড, বয়কট আমির খান, বয়কট লাল সিংহ চড্ডা বলছেন, তাঁরা অনেকেই ভাবছেন যে, আমি এমন এক জন, যিনি ভারতকে ভালবাসেন না... এটা দুঃখের। আমি সত্যিই দেশকে ভালবাসি। খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে, কয়েক জন আমার সম্পর্কে এমনটা ভাবছেন... দয়া করে আমার ছবি বয়কট করবেন না।’’
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে এক সাক্ষাৎকারে দেশ জুড়ে অসহিষ্ণুতার পরিবেশ প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা বলেছিলেন আমির। সে সময় অভিনেতার এই মন্তব্য বিভিন্ন মহলে সমালোচিত হয়েছিল।