বয়সের ফারাক সত্ত্বেও মিলিন্দ-অঙ্কিতার রসায়ন চোখে পড়ার মতো।
ঝকঝকে নীল আকাশের নীচে বরফে ঢাকা পাহাড়ি উপত্যকা। লাদাখের কোংমারু লা পাস। ১৭ হাজার ফুট উচ্চতায় সেখানেই পৌঁছে গিয়েছেন মিলিন্দ সোমান আর তাঁর স্ত্রী অঙ্কিতা কোনয়ার। ৩১ অগস্ট অঙ্কিতার জন্মদিনে এমনই নিভৃত উচ্চতা চেয়েছিলেন মিলিন্দ। মনের দিক থেকে স্ত্রীও তাঁর কাছে যে জায়গায়। বয়সের ফারাক সত্ত্বেও মিলিন্দ-অঙ্কিতার রসায়ন চোখে পড়ার মতো।
হাড়হিম করা ঠান্ডা। তার মধ্যে পরস্পরকে উষ্ণতায় ভরিয়ে রাখলেন দম্পতি। জিনস আর লালচে-বাদামি জ্যাকেট পরা মিলিন্দের গলায় অসমের গামছা। তাঁকে জড়িয়ে হলুদ জ্যাকেটে অঙ্কিতা। স্ত্রীকে এক হাতে আগলে রেখেছেন মিলিন্দ। নিবিড় ভাবে তাকিয়ে আছেন প্রেয়সীর চোখের দিকে। সেই ছবি পোস্ট করলেন অভিনেতা।
ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘প্রিয়তমা, জানি গতকাল তোমার শুভ জন্মদিন ছিল, আমিও যে সঙ্গেই ছিলাম! সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৭,০০০ ফুট উপরে তোমার নতুন বছরের শুরুটা চমৎকার হয়েছে। আমি প্রতি বছর তোমাকে আরও বেশি করে ভালবাসছি। যেন আরও ভালবাসতে পারি, সেই কামনা করছি। যা কিছুর স্বপ্ন দেখো সব যেন সত্যি হয়।’
অঙ্কিতা এর উত্তরে লিখেছেন, ‘তোমার সঙ্গে ১৭,০০০ ফুট উচ্চতা আরও ভাল।’
বেশ কয়েক বছর আগে চেন্নাইয়ের হোটেলে প্রথম দেখা তাঁদের। প্রেমিকের মর্মান্তিক মৃত্যুর জের সামলাচ্ছিলেন তখন অঙ্কিতা। সেই মুহূর্তে বন্ধুত্ব গাঢ় হয়েছিল মিলিন্দের। তার পর প্রেম। পাঁচ বছর সম্পর্কে থাকার পর ২০১৮ সালে বিয়ে করেন দু’জনে।
মিলিন্দকে শীঘ্রই কঙ্গনা রানাউতের উচ্চাভিলাষী প্রকল্প ‘ইমার্জেন্সি’তে সেনানায়ক শ্যাম মানেকশের ভূমিকায় দেখা যাবে।