প্রতীকী চিত্র।
শেষ দফার লোকসভা নির্বাচনের আগেই বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। আরও এক বার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের গ্র্যাচুয়িটি লিমিট বৃদ্ধি পেল। মিনিস্ট্রি অফ লেবার অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্টের তরফে ৩০ মে প্রকাশিত অফিস মেমোরেন্ডামে বলা হয়েছে, সেন্ট্রাল সিভিল সার্ভিসেস এবং সেন্ট্রাল সিভিস সার্ভিসেস (পেনশন)-এর আওতাভুক্ত কর্মীদের গ্র্যাচুয়িটি লিমিট ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ২০ লক্ষ টাকার বদলে গ্র্যাচুয়িটির অর্থের ঊর্ধ্বসীমা বৃদ্ধি করে ২৫ লক্ষ টাকা ধার্য করা হয়েছে।
এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরই রাজ্য সরকারি কর্মীদের ম্ধ্যে অসন্তোষ দানা বেঁধেছে। কারণ, এখনও পর্যন্ত তাঁদের গ্র্যাচুয়িটি লিমিট বৃদ্ধির বিষয়ে কোনও আশার আলো দেখাতে পারেনি রাজ্য। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ গুপ্ত চৌধুরী কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘সপ্তম পে কমিশনের সময়ই গ্র্যাচুয়িটির ঊর্ধ্বসীমা কেন্দ্রের কর্মীদের ক্ষেত্রে ২০ লক্ষ টাকা এবং রাজ্যের কর্মীদের ক্ষেত্রে ১২ লক্ষ টাকা ধার্য করা হয়েছিল। এই অতিরিক্ত ১৩ লক্ষ টাকা কেন্দ্রের কর্মীদের জন্য বরাদ্দ করে আখেরে রাজ্যের কর্মীদেরই বঞ্চনার শিকার হতে হচ্ছে।’’
এই বিষয়ে সরকারি কর্মচারীদের যুক্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক তাপস ত্রিপাঠীর অভিযোগ, রাজ্যের বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বঞ্চনা শুরু হয়েছে এবং তা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এখন সরকার সাফল্য দাবি করলেও তার কর্মচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রমকে যোগ্য মূল্য না দিয়ে তাঁদের বঞ্চনা করছে। এর সঠিক জবাব সরকার যথাসময়ে পাবে।
উল্লেখ্য, এর আগে একটি বিজ্ঞপ্তিতে এই সীমা বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু, এখন গ্র্যাচুয়িটির সীমা বৃদ্ধি করার সঙ্গেই মহার্ঘ ভাতাও (ডিএ) ৪ থেকে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেল। এর ফলে কেন্দ্রের কর্মীরা পেনশন-সহ অন্যান্য ভাতার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারি কর্মীদের তুলনায় বেশি সুবিধা পেতে চলেছেন। এই বিষয়ে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘কেন্দ্রের কর্মীদের সঙ্গে রাজ্যের শিক্ষক ও কর্মচারীদের ডিএ-এর মধ্যে ৩৬% পার্থক্য তো আছেই। এর সঙ্গেই দ্বিগুণেরও বেশি গ্র্যাচুয়িটির ফারাক সেই বিভেদ আরও বৃদ্ধি করল। এর উপযুক্ত ব্যবস্থা গণতান্ত্রিক উপায়ে দ্রুত গ্রহণ করা প্রয়োজন।’’