এই গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। —নিজস্ব চিত্র
নির্বাচনের দিন খরচের টাকা জোগাড় করতে সরকারি গাছ কেটে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। এমন কাণ্ডে চাঞ্চল্য ধূপগুড়ির বারঘরিয়া এলাকায়। যদিও ওই অভিযোগ প্রাথমিক ভাবে অস্বীকার করেছে জোড়াফুল শিবির। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন দলীয় নেতারা।
পঞ্চম দফায় ভোট ছিল জলপাইগুড়িতে। অভিযোগ, ধূপগুড়ির বারঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতা জিতেন্দ্রনাথ রায় এবং এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য ফিরদৌসী বেগমের স্বামী নবিয়ার রহমান দু’টি সরকারি গাছ কেটে বিক্রি করে দেন। তাঁরা আরও ৪টি গাছ এ ভাবে বিক্রি করার চেষ্টা করতে গিয়ে ধরা পড়ে যান বলে দাবি স্থানীয়দের একাংশের। গ্রামবাসীদের একটি অংশ গাছ কাটতে বাধা দেয়। ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সরকারি অনুমতি ছাড়াই গাছ কাটা হচ্ছিল।
স্থানীয় সিপিএম নেতা রাজকুমার রায়ের অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল নির্বাচনের সময় যে টাকা মদ এবং মাংস খাওয়াতে খরচ করেছিল, সেই খরচের টাকা তুলতেই সরকারি গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছে। এর আগে ওরা ৩টি গাছ কেটে বিক্রি করেছে। নতুন করে আরও কয়েকটি গাছ কেটে বিক্রি করার চেষ্টা করছিল। কিন্তু গ্রামবাসীরা আটকে দিয়েছেন।’’ এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক রাজেশ কুমার সিংহ বলেন, ‘‘এ নিয়ে এখনও কোনও অভিযোগ পাইনি। তবে আমি সংবাদমাধ্যমের মারফত জানতে পেরেছি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’