মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
নেত্রীর নির্দেশ শিরোধার্য করেই জয়ের প্রত্যয় নিয়েই রবিবার ভোরে গণনাকেন্দ্রে যাওয়ার প্রস্ততি নিচ্ছে তৃণমূল। পাহাড় থেকে সাগর। কোচবিহার থেকে কলকাতা, সর্বত্রই এক ছবি ধরা পড়ল ভোট গণনার আগের দিন। শুক্রবার কালীঘাটের বাসভবন থেকে ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রার্থী ও নির্বাচনী এজেন্টদের তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছেন। যেখানে বলা হয়েছে, গণনাকেন্দ্রে থাকা এজেন্টরা যেন টেবিল ছেড়ে না ওঠেন। এমনকি খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রেও সংযম বজায় রেখে তাঁরা যেন গণনা চালিয়ে যান। নেত্রী আরও বলেছেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত স্নায়ুযুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারলেই জয় আসবে।’’ তাই শনিবার দিনভর মমতার নির্দেশ পালনের দিকেই মন দিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। যাঁরা কাউন্টিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করবেন, তাঁদের যেন কোনও ভাবেই গণনাকেন্দ্রের বাইরে না আসতে হয়, সেই বিষয়টির উপরেই জোর দেওয়া হচ্ছে। সঙ্গে প্রত্যেক এজেন্টকে দেওয়া হয়েছে দলের আপৎকালীন নম্বরটি। যাতে কোনও গণনাকেন্দ্রে কোনও গোলমাল চোখে পড়লেই দ্রুত তৃণমূল শীর্ষ নেতত্বের কাছে সেই খবর পৌঁছে দেওয়া যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর ছেড়ে যাওয়া কেন্দ্র ভবানীপুরে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন বর্ষীয়ান নেতা তথা বিদায়ী সরকারের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে এবার রাসবিহারী থেকে সরিয়ে এনে ভবানীপুরে প্রার্থী করা হয়েছে। নেত্রীর আদেশের যাতে কোনও রকম অবজ্ঞা না হয়, সে দিকেই নজর রয়েছে তাঁর। তাই গণনার আগের দিন দুপুরের কাউন্টিং এজেন্টদের জন্য গণনাকেন্দ্রেই প্রাতঃরাশ থেকে শুরু করে মাধ্যহ্নভোজের বন্দোবস্ত করেছেন, সঙ্গে পর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থাও করেছেন তিনি। পাশাপাশি, কোভিডবিধি মানতে মাস্ক ও স্যানিটাইজারের ব্যবস্থাও করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘স্ট্রংরুম খোলার সময় থেকেই আমি গণনা সংক্রান্ত বিষয়ে যুক্ত হয়ে পড়ব। তাই আগের দিনই সব রকম ব্যবস্থা চূড়ান্ত করে ফেলেছি। যাতে নেত্রীর নির্দেশ কোনও ভাবেই অমান্য না করা হয়।’’
প্রসঙ্গত, লোকসভার মতো ভোটের ক্ষেত্রে জেলা সভাপতিরাই গণনা সংক্রান্ত বিষয়ের দায়িত্বে থাকেন। কিন্তু এবার কয়েকটি জেলা ছাড়া সব ক’জন জেলা সভাপতিই প্রার্থী হয়েছেন। তাই বাড়তি দায়িত্ব প্রার্থী ও তাঁর মুখ্য নির্বাচনী এজেন্টদের কাঁধে পড়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তৃণমূল নেতৃত্ব দুপুরের মধ্যে নিজেদের প্রস্তুতি সেরে ফেলেছেন।