২২৬ নম্বর এই বুথেই নির্বাচনকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নিজস্ব চিত্র।
নির্বাচন কর্মীদের বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠল মহেশতলার একটি বুথে। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ, ভোট দিতে গেলে নির্বাচন কর্মীরা তাঁদের ভুল পথে চালিত করেন। একটি বিশেষ বোতাম টিপে ইভিএম চালু করে তারপর ভোট দিতে বলা হয় তাঁদের। কিন্তু সেই বোতাম টিপতেই দেখা যায় ভোট গিয়েছে বিজেপি-র কাছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসার জানান, গোটাটাই মিথ্যে অভিযোগ।
শনিবার চতুর্থ দফার নির্বাচনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার শেষ ১১টি কেন্দ্রে ভোট ছিল। অভিযোগ, মহেশতলা বিধানসভা কেন্দ্রের দৌলতপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২২৬ নম্বর বুথে এই ঘটনা ঘটে। ভোট দিয়ে বাইরে এসে নির্বাচন কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের কথায়, ‘‘ভোটারদের এক নম্বরের বোতাম টিপে তারপর ভোট দিতে বলা হয়। সেই মতো এক নম্বরের বোতাম চাপলে দেখা যায় পদ্মফুল চিহ্নে ভোট গিয়েছে।’’ মূলত বয়স্ক মানুষ এবং সংখ্যালঘু মহিলাদেরই নির্বাচনকর্মীরা ভুল বুঝিয়েছে বলে দাবি। এরপরই বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনা শুরু হয়।
মহেশতলার তৃণমূল প্রার্থী দুলাল দাস এই ঘটনায় বিজেপি-ই প্রভাব খাটিয়েছ বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি-র মদতে ভোটকর্মীরা স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রভাবিত করছেন। এটি সম্পূর্ণ বেআইনি। আমরা নির্বাচন কমিশনকে জানাব। কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে কী করে এমন ঘটনা ঘটল সেটাই দেখার।’’
অন্যদিকে, বিজেপি প্রার্থী উমেশ দাসের দাবি, ‘‘২২৬ নম্বর বুথে শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট হচ্ছিল। প্রচুর মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। হারের ভয়ে, ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর জন্যই তৃণমূল তাদের প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের দিয়ে ওই অভিযোগ করিয়েছে।’’
এব্যাপারে ভোট কর্মীদের প্রশ্ন করা হলে, তাঁরা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পরে সাংবাদিকরা তাঁদের ছবি তুলতে গেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী বাধা দেয়।