প্রতীকী ছবি
প্রথম দফার ভোটে ৩০ আসনে ৬৫৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। কড়া নজরদারির মধ্যে শনিবার ভোটগ্রহণ ৫টি জেলার ৩০ আসনে। তার মধ্যে ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়ার সব ক’টি আসনেই ভোটগ্রহণ। বাকি ৩ জেলায় আংশিক। ঝাড়গ্রামের ৪, পুরুলিয়ার ৯,পশ্চিম মেদিনীপুরের ৬টি, পূর্ব মেদিনীপুরের ৭টি এবং বাঁকুড়ার ৪টি আসনে ভোটগ্রহণ। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। করোনা পরিস্থিতির কারণেই এ বার ভোটগ্রহণের সময় আধ ঘণ্টা বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন।
পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর, কাঁথি উত্তর, ভগবানপুর, খেজুরি, কাঁথি দক্ষিণ, রামনগর এবং এগরাতে ভোট হবে। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন, কেশিয়াড়ি, খড়্গপুর, গড়বেতা, শালবনি এবং মেদিনীপুর কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ রয়েছে এই দফায়। ঝাড়গ্রামের বিনপুর, নয়াগ্রাম, গোপীবল্লভপুর, ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রে। পুরুলিয়া জেলার বাঘমুন্ডি, বলরামপুর, বান্দোয়ান, জয়পুর, পুরুলিয়া, মানবাজার, কাশীপুর, পারা ও রঘুনাথপুর কেন্দ্রে এবং বাঁকুড়ার রাইপুর, রানিবাঁধ, ছাতনা ও শালতোড়াতেও ভোট প্রথম দফায়।
প্রথম দফার ভোটে মোট ১০ হাজার ২৮৮টি বুথে ভোটগ্রহণ। পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরের মাওবাদী প্রভাবিত এলাকা বলে চিহ্নিত অঞ্চলগুলিতেও এই দফাতেই নির্বাচন হচ্ছে। সে কারণে আলাদা করে নিরাপত্তার দিকে নজর দিয়েছে কমিশন। বাঁকুড়া জেলার ৪টি আসনের জন্য বাহিনী রয়েছে ৮৩ কোম্পানি। ঝাড়গ্রামেও ৪টি আসনে ভোটগ্রহণ। সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী ১৪৪ কোম্পানি। আর পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে বাহিনী যথাক্রমে ১৪৮ এবং ১২৪ কোম্পানি। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরাপত্তা বজায় রাখতে সঠিক ভাবে কাজ করতে পারছে কি না, তা দেখার জন্য ৩ জন বিশেষ পর্যবেক্ষককেও নিয়োগ করেছে কমিশন।