ইভিএম-এ কারচুপির অভিযোগে মাজানায় তৃণমূলের বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।
ভোটযন্ত্রে কারচুপির অভিযোগে সরগরম পূর্ব মেদিনীপুরের দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভার ১৭২ নম্বর বুথ। কাঁথি শহরের কাছেই মাজানা মক্তব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘ ক্ষণ ভোটগ্রহণ বন্ধও থাকে। শনিবার সকালে ওই বুথে ভোটারদের একাংশের অভিযোগ, তাঁরা তৃণমূলে ভোট দিলেও ভোট পড়েছে বিজেপি-তে। যদিও এই অভিযোগের কোনও কারণ দেখাননি তাঁরা। এই বুথে ভোটদান শুরু হতেই গোলমাল শুরু হয়। সাড়ে ৩ ঘণ্টারও বেশি সময় বন্ধ ছিল ভোটগ্রহণ। ঘটনার প্রতিবাদে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। যদিও বুথের প্রিসাইডিং অফিসারে দাবি, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। ঘটনাস্থলে পৌঁছন ভোট পর্যবেক্ষক। এর পরে বিক্ষোভ সামলে ভোটদান শুরু হয় সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও। অভিযোগকারীরা ইভিএম পরিবর্তনের দাবি তোলেন। অনেকে ভোট বাতিলের দাবিও তোলেন। শেষ পর্যন্ত ভিভিপ্যাট পরিবর্তন করে আবার শুরু হয় ভোটগ্রহণ। ওই বিধানসভা এলাকার অন্য কোনও জায়গা থেকে অবশ্য এমন অভিযোগ ওঠেন। অন্য দিকে, পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর বিধানসভাতেও ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলেছে। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে দলের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডলে অভিযোগ তুলে বলা হয়েছে মাত্র ৫ মিনিটে ব্যাপক হারে ভোট পড়তে দেখা গিয়েছে। এটা কী ভাবে সম্ভব তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের জবাবও চেয়েছে তৃণমূল। রাজ্য বিজেপি-র দাবি, এ সব অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং সাজানো। হারের ভয়েই আগে থেকে অভিযোগ জানিয়ে রাখছে তৃণমূল।
অন্য দিকে, শনিবার উত্তাপ ছড়ায় পশ্চিম মেদিনীপুরে ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই উত্তেজনা ছড়ায় শালবনির ছোটতারা গ্রাম। অভিযোগ, সেখানে বুথের সামনেই বিক্ষোভের শিকার হন শালবনির সংযুক্ত মোর্চা প্রার্থী সিপিএমের সুশান্ত ঘোষ। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি ভাঙচুর করা হয় তাঁর গাড়ি। ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, সে সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনও নিরাপত্তাকর্মী বুথের বাইরে ছিলেন না। কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্মরত জওয়ানরা ছিলেন বুথের ভিতরে। সুশান্ত ঘোষের সঙ্গে যে দু’জন পুলিশকর্মী ছিলেন, তাঁরা তাঁকে নিরাপদে বাইরে নিয়ে যান। ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। তাণ্ডবের ঘটনায় আটক করা হয়েছে ৭ জনকে।