ব্রিগেডের মঞ্চে জোটের নেতারা ফাইল ছবি
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ৮ মার্চ ঘোষণা করতে পারে বাম-কংগ্রেস- ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) জোট। মোর্চা সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। তবে ওই দিন পূর্ণ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। জোট সূত্রের খবর, ওই দিন প্রথম দু’দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে।
মঙ্গলবার সিপিএমের রাজ্য দফতর আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ নেতারা। বৈঠকে ছিলেন সিপিএমের বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, মহম্মদ সেলিম, কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান, প্রদীপ ভট্টাচার্য এবং আইএসএফের তরফে নৌশাদ সিদ্দিকি। সেই বৈঠকেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণার দিন নিয়ে আলোচনা হয়। জানা গিয়েছে, আগামী ৮ মার্চ তিন দল একসঙ্গে বসে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে। কোথায় ঘোষণা হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। আগামী দু’এক দিনের মধ্যে তা জানানো হবে।
প্রথম দফার ভোটের জন্য ৩ মার্চ মঙ্গলবার থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়ার কাজ শুরু হবে। কিন্তু জোটের আসন ভাগাভাগি এখনও চূড়ান্ত না হওয়ায় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে কিছুটা দেরি হবে বলে জোট সূত্রে খবর। তবে ৮ মার্চ প্রার্থী ঘোষণার ক্ষেত্রে কিছুটা সতর্কতার সঙ্গে এগোতে চাইছেন জোটের নেতারা। কারণ ৯ মার্চ মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। তাই ওই দিন যাতে প্রার্থীর মনোনয়ন জমা দিতে কোনও সমস্যা না হয় সে দিকে নজর রাখছেন জোট নেতৃত্ব।
মঙ্গলবার কংগ্রেস ও আইএসএফ-এর বৈঠকেও আসন সমঝোতা নিয়ে জট কাটেনি। কংগ্রেসের কাছে ১৫টি আসনের দাবি জানিয়েছিলেন আইএসএফ প্রধান আব্বাস সিদ্দিকি। তার মধ্যে ছিল মালদহ ও মুর্শিদাবাদের কিছু আসন। যা নিয়ে আগাগোড়া আপত্তি জানান কংগ্রেস নেতৃত্ব। তবে সোমবারের বৈঠকে যে রফাসূত্র মিলেছিল, মঙ্গলবার তাতেই ভর করে আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যান জোটের নেতারা। ঠিক হয় ওই দুই জেলায় ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বামেরা যে আসনগুলিতে এগিয়ে ছিল, তার মধ্য থেকেই আব্বাসের দলকে আসন ছাড়া হবে। তারপরও মঙ্গলবারের বৈঠকে কয়েকটা আসন নিয়ে আপত্তি জানায় কংগ্রেস। এতেই ফের জট তৈরি হয় বলে খবর। উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ৭টি আসন আইএসএফ-কে ছেড়েছে কংগ্রেস। ফলে সব মিলিয়ে আইএসএফ জোট থেকে ৩৭টি আসন আদায় করেছে।
অন্য দিকে, মঙ্গলবার ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের পর শরিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসে বামফ্রন্ট। জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকে সিপিআই-কে ৯টি, ফরওয়ার্ড ব্লক-কে ১৫টি এবং আরএসপি-কে ১১টি আসন ছাড়ার কথা জানিয়েছেন বিমান। এ ছাড়া কংগ্রেস ৯২টি এবং আইএসএফ ৩৭টি লড়াই করবে। বাকি আসনগুলো পাবে সিপিএম। এ নিয়ে বাম শরিকদের মধ্যে কিছুটা অসন্তোষ দেখা যায়। তবে শেষ পর্যন্ত ওই সিদ্ধান্ত সকলে মেনে নেন।