জাভেদ শামিমের জায়গায় আনা হল দমকলের ডিজি জগমোহন (ডান দিকে)-কে। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার ভার ছিল যাঁর হাতে, তাঁকে পাঠানো হল দমকলের দায়িত্বে। আর যিনি দমকলের দায়িত্বে ছিলেন, এ বার তাঁর হাতেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার ভার। ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর দিনই রাজ্যের প্রশাসনিক পদে রদবদল করল কমিশন। এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল জাভেদ শামিমকে। তাঁর জায়গায় আনা হল দমকলের ডিজি জগমোহনকে।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেখানেই এই রদবদলের কথা জানানো হয়েছে। ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, জগমোহন এ বার থেকে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব সামলাবেন। এত দিন যিনি ওই দায়িত্ব সামলাতেন, সেই জাভেদকে পাঠানো হয়েছে দমকলের ডিজি পদে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত জাভেদ সিভিল ডিফেন্সের ডিরেক্টর জেনারেল হিসাবেও কাজ করবেন।
সম্প্রতি জাভেদকে কলকাতা পুলিশ থেকে রাজ্য পুলিশে নিয়ে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা পুলিশের স্পেশাল পুলিশ কমিশনার থেকে তাঁকে এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) পদে আনা হয়েছিল। তবে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই তাঁকে সরিয়ে দিল কমিশন।
কমিশনের এই পদক্ষেপকে বিজেপি-র চক্রান্ত বলে অভিহিত করেছে তৃণমূল। দলের সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘‘এটা বিজেপি-র ব্লু-প্রিন্টে হচ্ছে কি না, আমি জানি না। মনে হচ্ছে, এতে রাজনীতির ছোঁয়া রয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করা হচ্ছে।’’
তবে তৃণমূলের এই অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। দলের নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের মন্তব্য, ‘‘নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার জন্যই এই পদক্ষেপ করেছে কমিশন। সুরজিৎ পুরকায়স্থের মতো রাজ্যের বেশ কিছু অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিককে মমতাভোগী করে রাখা হয়েছে। তাঁদের সরানোর দাবি আমরা বহুদিন থেকেই করছি।’’