ওই আশাকর্মী। -নিজস্ব ছবি।
করোনা সংক্রমণ নিয়েই ভোটকেন্দ্রে কাজ করছেন এক আশাকর্মী। তাঁর অভিযোগ, প্রশাসনকে তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়েও লাভ হয়নি।
ওই আশাকর্মীর দাবি, করোনা সংক্রমণের রিপোর্ট নিয়ে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক, বিডিও—সকলের দরজায় ঘুরেও সুরাহা তো দূর অস্ত্, উল্টে ভোটের ডিউটি করতেই হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। এমনকি শোকজ চিঠিও ধরানো হয় বলে অভিযোগ। ফলে বাধ্য হয়ে অসুস্থ শরীরে নিয়ম বিধির তোয়াক্কা না করে ভোটকেন্দ্রে কর্তব্যরত ওই আশাকর্মী। পরে কমিশনের হস্তক্ষেপে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে মালদহ বিধানসভার ১৭০ নম্বর বুথে৷ সাহাপুর জুনিয়র বেসিক স্কুলে ওই কর্মী ভোটের কাজ করছেন। কী ঘটেছে?
ওই আশাকর্মী জানিয়েছেন, জ্বর ও কাশি থাকায় গত ২৪ এপ্রিল তিনি সংক্রমণের আশঙ্কায় মৌলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিজের লালারস পরীক্ষা করান। ২৬ এপ্রিল রিপোর্ট হাতে পান। তাতে দেখা যায় তিনি করোনা আক্রান্ত। এর পরই তিনি আর দেরি করেননি। গোটা বিষয়টি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং বিডিওকে জানান। তাঁর অভিযোগ, কেউ তাঁর কথা তো শোনেননি বরং বাড়িতে পুলিশ পাঠানোর হুমকি দেওয়া হয়।
করোনা সংক্রমণের রিপোর্ট। -নিজস্ব চিত্র।
কিন্তু শরীর অসুস্থ থাকায় তিনি জানিয়ে দেন, এই অবস্থায় কাজ করা সম্ভব নয়। তাই ওই দিন থেকে বাড়িতেই ছিলেন। বাড়ির অন্যান্য সদস্যেরাও করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। কিন্তু গতকাল, ২৮ এপ্রিল তাঁর হাতে শোকজ চিঠি ধরানো হয়।
ওই আশাকর্মীর আরও অভিযোগ, এই অবস্থায় তিনি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে সবটা জানান। তাঁর পাশে না দাঁড়িয়ে উল্টে তিনিও তাঁকে নিয়ে ব্যঙ্গ করেন বলে অভিযোগ। ফলে দেহে বাসা বাঁধা মারণ সংক্রমণ নিয়েই বৃহস্পতিবার ভোটের কাজ করেছেন তিনি।
পুরো বিষয়টিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে পৌঁছেছে। ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। পরে তাঁকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।