নিজস্ব চিত্র।
ফের অশান্তি পূর্ব বর্ধমানে। কাউন্টিং এজেন্টদের সঙ্গে বৈঠকের সময় বিজেপি ও তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধল কাটোয়ায়। এই অতিমারি পরিস্থিতিতে করোনাবিধি জলাঞ্জলি দিয়ে ২ দলের কর্মী-সমর্থকরা লাঠি নিয়ে একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। উত্তেজনা সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। অশান্তির জন্য শেষ পর্যন্ত ভেস্তে যায় বৈঠক।
রাত পোহালেই ভোট গণনা। শনিবার নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কাটোয়া কলেজে কাটোয়া মহকুমা এলাকার ৩টি বিধানসভা কেন্দ্র, কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট এবং কাটোয়ার এজেন্টদের নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছিল। গণনা প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা, গণনাকেন্দ্রে করোনাবিধি বজায় রাখা এবং যাতে গণনার সময় এজেন্টদের সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয়, তা নিয়ে আলোচনার জন্যই এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল।
শনিবার কাটোয়ার সংহতি মঞ্চে বৈঠক শুরু হয়। সূত্রের খবর, প্রায় ঘণ্টাখানেক বৈঠক হওয়ার পর শুরু হয় গন্ডগোল। কেতুগ্রামের বিজেপি প্রার্থী মথুরা ঘোষ এবং কাটোয়া পুরসভা ১২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর সুদীপ্তময় ঘোষ প্রথমে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। তার পরেই ২ দলের এজেন্টদের মধ্যে শুরু হয় বচসা ও হাতাহাতি। এর পর সেই ঝামেলা রাস্তায় এসে গড়ায়। লাঠি নিয়ে ২ দলের এজেন্টদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
খবর পেয়ে কাটোয়া থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে আসে। তারা পরিস্থিতি সামাল দেয়।
মথুরার অভিযোগ, ‘‘বৈঠকের সময় মধ্যাহ্নভোজের বিরতি নিয়ে যখন মতামত নেওয়া হচ্ছিল, তখন আমাদের বলতে বাধা দেয় তৃণমূলের লোকজন। আমরা বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে আসছিলাম। তখন আমাদের উপর লাঠি নিয়ে চড়াও হয় ওরা। মারধর করা হয়।’’
অন্য দিকে তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর সুদীপ্তময়ের অভিযোগ, ‘‘বৈঠকে আলোচনার সময় আমার উপর বিজেপি প্রার্থী ও তার দলের লোকজন চড়াও হয়। তা থেকেই এই ঝামেলা বাধে।’’
এই প্রসঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘এই অবস্থার মধ্যে এত লোকজন আসা ঠিক হয়নি।’’ ঘটনার পর বিজেপি-র পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তার দাবি জানানো হয়। বিজেপি-র বিরুদ্ধে পাল্টা নালিশ জানিয়েছে তৃণমূলও।