বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল নিজস্ব চিত্র।
বীরভূমে নির্বাচনের আগে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি করেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু নজরদারির মধ্যেই কমিশন ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর চোখকে ‘ফাঁকি’ দিয়ে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেলেন অনুব্রত। তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজছেন জেলাশাসক ও কেন্দ্রীয় বাহিনী।
সূত্রের খবর, বুধবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ নিজের বাড়ি থেকে গাড়ি নিয়ে বার হন অনুব্রত। তাঁর পিছনে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও কমিশনের গাড়িও যায়। দলীয় সুত্রে খবর, তিনি প্রথমে নানুরে দলীয় কার্যালয়ে যান। সেখান থেকে লাভপুরে দলীয় কার্যালয়ে যান তিনি। এ ভাবেই গোটা জেলায় ঘোরার কথা অনুব্রতর। কিন্তু লাভপুরে দলীয় কার্যালয় থেকে বার হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই রাস্তার মধ্যে অনুব্রতর গাড়ি গতি বাড়িয়ে বেরিয়ে যায় বলে খবর। রাস্তায় অন্য গাড়ি এসে পড়ায় আটকে যায় কমিশন ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়ি। তার পর থেকেই নাকি অনুব্রতর গাড়ি আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
জানা গিয়েছে, বীরভূমের বিভিন্ন এলাকায় অনুব্রতকে খুঁজে বেড়াচ্ছে কমিশন ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। খুঁজছেন জেলাশাসক নিজেও। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। অনুব্রতর খোঁজে বীরভূমের একাধিক থানায় খবর দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
মঙ্গলবার কমিশন জানায়, আগামী ৩০ এপ্রিল সকাল ৭টা পর্যন্ত নজরবন্দি থাকবেন তৃণমূলের বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত। ভিডিয়োগ্রাফির মাধ্যমে নজর রাখা হবে অনুব্রতর উপর। এ ছাড়া তাঁর সঙ্গে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং এগ্জিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট।
যদিও কমিশনের এই সিদ্ধান্তের পরে অনুব্রত বলেন, ‘‘নজরবন্দি মানে কী? আমি যেখানেই যাব সেখানেই এক জন ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে আর কয়েক জন সিআরপিএফ থাকবে। এই তো নজরবন্দি। আমাকে তো গৃহবন্দি করেনি! তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রত্যেক বার করে, এ বারও করেছে। আমি যখন বাড়ি থেকে বেরোব, পার্টি অফিসে যাব, আমার সঙ্গে সঙ্গে আসবে ক্ষতি কী আছে? খেলা কি বন্ধ হয় ? ঘরের ভিতরে চার জনে মিলে খেলা হয় না? খেলব মনে করলেই খেলা হবে।’’