গৌতম দেব। —ফাইল চিত্র।
দলত্যাগী নান্টু পালের ‘শুভবুদ্ধির উদয় হোক’ বলে জানালেন তৃণমূলের উত্তরবঙ্গের নেতা ও মন্ত্রী গৌতম দেব। সোমবার সকালে নিজের বিধানসভা ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি এলাকায় প্রচারে বার হন গৌতম। সেখানেই তিনি নান্টু প্রসঙ্গে জানান, রাজনীতিতে উচ্চাকাঙ্খা থাকা ভাল। কিন্তু লাগামছাড়া না হওয়াই কাম্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং প্রার্থী বাছাই করেছেন। মনে প্রশ্ন থাকলেও অনুগত সৈনিক হিসাবে তা মেনে নেওয়াটাই নান্টুর উচিত ছিল। তা না করে উনি দল ছেড়ে নতুন কোথাও গেলে তা হবে পঞ্চমবার। দলত্যাগী নেতাকে মন্ত্রীর পরামর্শ, ‘‘আমি চাই ওঁর শুভবুদ্ধি ফিরে আসুক। বয়স হয়েছে ওঁর। বারবার দল ছাড়লে ভাবমূর্তি একসময় ধুলোয় মিশে যেতে পারে।’’
দলীয় সূত্রের খবর, শুক্রবার প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরদিনই নান্টু দল ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন। রবিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শহরে থাকাকালীন তাঁকে দুই মন্ত্রী গৌতম ও অরূপ বিশ্বাস ডেকে কথা বলেন। তাতে বরফ গলেনি। নান্টু নির্দল প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা করে দেন। যদিও জেলা সভাপতিকে বিকেল অবধি পদত্যাগপত্র পাঠাননি। এসজেডিএ-র ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকেও সরে দাঁড়ানোর চিঠি দেননি। গৌতম এ দিন জানান, মুখ্যমন্ত্রী মেয়ের বিয়েতে বাড়িতে গেলেই ভোটের টিকিট মিলবে, এ ধারণা করাটা ভুল।
নান্টু বলেছেন, ‘‘আমি কতবার দল ছেড়েছি তা দেখে কী হবে। প্রতিবার নতুন দলে গিয়ে জিতেছি। খেলোয়াড় ভাল বলেই অন্য দলে সুযোগ পেয়েছি। মানুষের কাছে আমার গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণিত। বুদ্ধি আমার ঠিকই আছে। অনেক উপেক্ষা সহ্য করেছি। কখনও কিছু বলিনি। আর পারলাম না।’’ এর পর বলেছেন, ‘‘জেলা সভাপতি, এসজেডিএ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে, সময়ে সব জমা করে দেব।’’
জেলার অনেক নেতার কথায়, জু অথরিটি, স্পোর্টস বোর্ড, এসডেজিএ মিলিয়ে নান্টু পাল যা সরকারি পদ পেয়েছেন, তা অন্য নেতারা পাননি। শহরের বিধায়ক, মেয়র না হলে উন্নয়নের কাজ করা যায় না বলেছেন। ওঁর পা মনে হয়, একটু মাটি থেকে উপরে উঠে গিয়েছে।’’