ছবি ফেসবুকের ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
‘টুম্পা সোনা’র পর এ বার ‘লুঙ্গি ডান্স’। বামেদের প্রচারে এ বার নতুন সংযোজন বলিউডের এই সুপার হিট ‘চটুল গান’-এর প্যারোডি। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে কার্টুন, ব্যাঙ্গচিত্রের মাধ্যমে নতুন এই প্যারোডি ভিডিয়োটির স্রষ্টা রাহুল রায় এবং নীলাব্জ নিয়োগী ফেসবুকে শেয়ার করেছেন। ‘টুম্পা তোকে নিয়ে ব্রিগেড যাব’র মতো লুঙ্গি ডান্সও এর মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাল সাড়া ফেলেছে। বাম কর্মী-সমর্থকদের তরুণ ব্রিগেডের একাংশের মধ্যে এই গান নিয়েও ব্যাপক উচ্ছ্বাস।
ব্রিগেড সমাবেশের আগে জনপ্রিয় বাংলা চটুল গান ‘টুম্পা সোনা’র প্যারোডি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছিল। সেই স্রোতে আবারও ভাসল বামেরা। টুম্পা সোনার মতোই কার্টুন ও ব্যাঙ্গচিত্রের মাধ্যমে তৃণমূল ও বিজেপিকে কটাক্ষ বিদ্রুপে ভরা নতুন এই গানও। মূল কথা, ‘লাল ফেরাও, হাল ফেরাও’। যা বামেদের মূলধারার রাজনৈতিক প্রচারের স্লোগানও বটে।
রাজ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে যেমন সারদা, নারদা থেকে তোলাবাজির অভিযোগ আনা হয়েছে, তেমনই বিজেপির বিরুদ্ধে রেল, বিমার মতো সরকারি সংস্থাকে বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে ছুড়ে দেওয়া হয়েছে কটাক্ষ। করোনার সংক্রমণের সময় তালি-থালি বাজানোর কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সারা দেশ তা পালনও করেছিল। সেই বিষয়কেও সুর-তালে ব্যাঙ্গ রয়েছে ‘লুঙ্গি ডান্স’-এ। বিজেপি-কে নিশানা করে মুখড়া-অন্তরা-তে বারবার ঘুরে ফিরে এসেছে ‘দাঙ্গাবাজ’ শব্দটি। ‘মাথা বিগড়াতে ধর্ম ফাটাচ্ছে’—এমন আক্রমণাত্মক কথাও রেয়েছে নতুন এই গানে।
ভোটের মুখে এক ঝাঁক তৃণমূল নেতা যোগ দিয়েছেন বিজেপি-তে। শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়, মুকুল রায়ের মতো নেতাদের নাম করেই আক্রমণ করা হয়েছে। মূল বক্তব্য, তৃণমূলে থাকতে দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ছিলেন, তাঁরা বিজেপি-তেও রয়েছেন। বোঝানোর চেষ্টা হেয়ছে বামেদের তথা গানের ভাষায়, বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। সেই কারণেই ব্যবহার করা হেয়ছে ‘বিজেমূল’ শব্দবন্ধও।
আগের ‘টুম্পা সোনা’ গানটির প্যারোডি লিখেছিলেন রাহুল পাল। সুর ও কণ্ঠ ছিলল নীলাব্জ নিয়োগীর। শাহরুখ খান ও দিপীকা পাদুকোণ অভিনীত বলিউডি সিনেমা চেন্নাই এক্সপ্রেসের জনপ্রিয় হিন্দি গান ‘লুঙ্গি ডান্স’ প্যারোডির স্রষ্টাও এই জুটিই। শুক্রবার দু’জনই এই নতুন গানের প্যারোডি শেয়ার করেছেন। রাহুল লিখেছেন, ‘টুম্পাকে নিয়ে অনেকেই ব্রিগেড গিয়েছএন, এ বার হাল ফেরাতে লাল ফেরানোর পালা’।