বৃহস্পতিবার বয়ালের ৭ নম্বর বুথে ঘণ্টা দুয়েক বসে ছিলেন মমতা। —ফাইল চিত্র।
নন্দীগ্রামের ভোট নিয়ে ৬৩টা অভিযোগ করেছিল তৃণমূল। তার মধ্যে বয়ালের ঘটনাও ছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে তার রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনে জমা দিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক স্মিতা পাণ্ডে শুক্রবার এ কথা জানিয়েছেন।
ভোটের দিন নন্দীগ্রামে বিক্ষিপ্ত কয়েকটি ঘটনা ঘটে। তার মধ্যে বয়ালের ঘটনাও ছিল। বৃহস্পতিবার বয়ালের ৭ নম্বর বুথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘণ্টা দুয়েক বসে ছিলেন। পরে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় বয়াল থেকে তিনি বাইরে বেরোন। এর পর মমতা অভিযোগ করেন, ‘‘চূড়ান্ত অসভ্যতা হয়েছে নন্দীগ্রামে। যিনি এখানে বিজেপির প্রার্থী, তাঁর নেতৃত্বে রাতে দাপিয়ে বেড়িয়েছে দুষ্কৃতীরা। তাহের, সামাদ যারা আদালতের নির্দেশে স্বস্তিতে রয়েছেন, তাদের বাড়িতেও রাত থেকে হামলা হয়েছে। ভোটে চিটিংবাজি হয়েছে এখানে। আমরা ৬৩টা অভিযোগ করেছি।’’ বিহার ও উত্তরপ্রদেশের গুন্ডা এনে গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বয়ালের ওই বুথে বসেই প্যাড-পেন নিয়ে অভিযোগের চিঠি লেখেন নির্বাচন কমিশনকে। ফোন করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কেও। এর পর কমিশনের তরফে জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় কমিশন। সেই রিপোর্টই শুক্রবার জমা দেওয়া হয়েছে।
জেলাশাসক স্মিতা পাণ্ডে বলেন, ‘‘কমিশনের তরফে নন্দীগ্রাম নিয়ে আমাদের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছিল। আমরা তদন্ত করে সেই রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছি।’’