—ফাইল চিত্র।
চতুর্থ দফায় আগামী শনিবার কলকাতা পুলিশ এলাকার পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। আরও একটি বিধানসভা কেন্দ্রের একাংশও কলকাতা পুলিশের অধীনে। ভোটগ্রহণ হবে সেখানেও। লালবাজার জানিয়েছে, ওই দিন ভোটের দায়িত্ব সামলাবে ৯০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ইতিমধ্যেই ১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী কলকাতায় চলে এসেছে। তৃতীয় দফার ভোটের পরে বাকি কোম্পানির জওয়ানেরাও কলকাতায় চলে আসবেন বৃহস্পতিবারের মধ্যে। সে দিনই তাঁরা বিভিন্ন থানা এলাকায় পৌঁছে যাবেন।
এ বার কলকাতা পুলিশ এলাকায় মোট চার দফায় ভোট হতে চলেছে। আজ, মঙ্গলবার প্রথম দফার ভোট রয়েছে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকার ৩০টি বুথে। শনিবার ভোট রয়েছে যাদবপুর, টালিগঞ্জ, কসবা, বেহালা পূর্ব, বেহালা পশ্চিম এবং মেটিয়াবুরুজ বিধানসভা কেন্দ্রের একটি অংশে। ওই দিন মোট ৭২১টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ভোট দেবেন নাগরিকেরা। আর বুথের সংখ্যা ২৩৪৩টি। এর মধ্যে মহিলা পরিচালিত ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৩ এবং বুথের সংখ্যা ২৪৪। সূত্রের খবর, মহিলা পরিচালিত বুথের নিরাপত্তার জন্য আসছে দুই কোম্পানি মহিলা কেন্দ্রীয় বাহিনী।
লালবাজার জানিয়েছে, আগামী শনিবারের ভোটের জন্য ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলা থেকে শহরে ভোট করাতে আসবে ৫৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাকি ২২ কোম্পানির আসার কথা বারুইপুর পুলিশ জেলা থেকে। তাদের আনার জন্য আজ, মঙ্গলবারের মধ্যেই কলকাতা পুলিশের গাড়ি ওই সব জায়গায় পৌঁছে যাবে। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে শহরের বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে লালবাজারের তরফে। এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে, ভোটের দিন কুইক রেসপন্স টিমের দায়িত্ব থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের হাতে। প্রতিটি কুইক রেসপন্স টিমে হাফ সেকশন বা চার জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
লালবাজার সূত্রের খবর, কুইক রেসপন্স টিমের মতোই প্রতিটি বুথের দায়িত্বও থাকার কথা কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে। এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে, প্রতিটি বুথে হাফ সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা দায়িত্বে থাকবেন। যে সব ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে চারটির বেশি বুথ রয়েছে, সেখানে দুই সেকশন বা তার চেয়ে বেশি বাহিনী থাকার কথা। কোনও কেন্দ্রে দশটির বেশি বুথ থাকলে সেখানে মোতায়েন করা হতে পারে এক প্ল্যাটুন বা ২৪ জন জওয়ানকে। প্রতিটি বুথের বাইরে ভোটারদের লাইন ঠিক করা এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সাহায্য করার জন্য এক জন করে হোমগার্ডকে রাখার কথা। পুলিশ সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় বাহিনী শহরে পৌঁছে প্রতিটি স্পর্শকাতর এলাকায় টহল দেবে। ইতিমধ্যেই কোন কোন এলাকা স্পর্শকাতর, তার তালিকা তৈরি করে নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
আগামী ২৬ এপ্রিল ভোট রয়েছে দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর, রাসবিহারী, বালিগঞ্জ এবং বন্দর এলাকায়। ২৯ এপ্রিল ভোট উত্তর কলকাতার বেলেঘাটা, এন্টালি, মানিকতলা, চৌরঙ্গি, শ্যামপুকুর, জোড়াসাঁকো ও কাশীপুর-বেলগাছিয়ায়। ওই দুই দফার ভোটের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার কাজ শনিবার থেকেই শুরু হয়েছে। সোমবার ভবানীপুর, রাসবিহারী ও বালিগঞ্জের সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীরা আলিপুরে নিজেদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
ইতিমধ্যেই লালবাজারের তরফে বাহিনীকে শান্তিপূর্ণ এবং অবাধে ভোট করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনও রকম গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না বলেও লালবাজারের কর্তারা জানিয়েছেন। আর সেই কথা মাথায় রেখেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় রেখে ভোটের ঘুঁটি সাজানোর কাজ চলছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।