কেশপুরে বিজেপি প্রার্থী গাড়ি ঘিরে হামলা। নিজস্ব চিত্র।
রাজনৈতির হিংসার ‘ঐতিহ্য’ বজায় রাখল কেশপুর। রক্তপাত এবং মৃত্যুর পাশাপাশি সেখানে ভোটপর্ব চলাকালীন আক্রান্ত হলেন বিজেপি প্রার্থী প্রীতীশরঞ্জন কুঁয়ার। অভিযোগ, গুণহারা অঞ্চলে তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করেছেন তৃণমূল কর্মীরা।
ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা গিয়েছে, প্রীতীশের গাড়ি ঘিরে বাঁশের বাড়ি মারা হচ্ছে। ছোড়া হচ্ছে ইট। এমনকি, মহিলারাও হামলায় অংশ নিচ্ছেন বলে দেখা গিয়েছে ওই ফুটেজে। সেখানে সংবাদমাধ্যমের গাড়ি লক্ষ্য করেও ইট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। হামলার সময় প্রার্থীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীরা কোনও সক্রিয়তা দেখাননি বলে অভিযোগ। বিজেপি সূত্রের খবর, স্থানীয় বাঁকাবর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে গন্ডগোলের খবর পেয়ে যাচ্ছিলেন প্রীতীশ। সে সময়ই তাঁর গাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। যদিও তৃণমূলের দাবি, বিজেপি-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই এই ঘটনা।
রাজনৈতিক হিংসার জন্য পরিচিত পশ্চিম মেদিনীপুরে কেশপুরে হিংসার আশঙ্কা ছিল ভোটে আগে থেকেই। নির্বাচন কমিশনের তরফে ‘পর্যাপ্ত নিরাপত্তার’ আশ্বাসও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার ভোট চলাকালীন কেশপুরের বিজেপি প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট তন্ময় ঘোষের গাড়ি ভাঙচুর এবং বিজেপি মহিলা এজেন্টকে মারধরের অভিযোগে উত্তেজনা ছড়ায়। বেলেরা এলাকার ১৭৩ নম্বর বুথে অদূরে এই হামলার ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। এ ঘটনায় পুলিশ-প্রশাসনের একাংশের মদত রয়েছে বলে বিজেপি-র অভিযোগ।
তার আগে বুধবার রাতে কেশপুরে এক তৃণমূল কর্মীকে বিজেপি-র দুষ্কৃতীরা কুপিয়ে খুন করে বলে অভিযোগ। রাত ১১টা নাগাদ কেশপুর ব্লকের ৪ নম্বর অঞ্চলের অন্তর্গত দাদপুর গ্রামের হরিহর চক বুথ এলাকায় তৃণমূল কর্মী উত্তম দলুইকে ছুরি মেরে খুন করা হয়। ওই ঘটনার এখনও পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে, কেশপুরের বিলাসবাড়ের ২৩৫ নম্বর বুথ বিজেপি কর্মীরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর মদতে দখল করেছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের।