আব্দুর রহমান। ফাইল ছবি।
ভোটের মুখে শরীরে থাবা বসিয়েছিল করোনা। সেই কারণে মুরারই-এ তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষণা হওয়ার পরেও সরে আসেন তিনি। সেই আব্দুর রহমান, মুরারই-এর বিদায়ী তৃণমূল বিধায়ক, মারা গেলেন শনিবার সকালে। রাজ্যে পঞ্চম দফার ভোট চলাকালীন দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে করোনাভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধে হার মানলেন তিনি। চলতি সপ্তাহেই রাজ্যে ২ জন প্রার্থীর মৃত্যু হয়েছে করোনায় আক্রান্ত হয়ে।
২০১৬ সালে মুরারই কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে জিতে বিধায়ক হন আব্দুর রহমান। এ বারেও তাঁকেই প্রথমে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। কিন্তু করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর শারীরিক ভাবে ভীষণ অশক্ত হয়ে পড়েন। চিকিৎসকরা প্রচারে বেরোতে কঠোর ভাবে নিষেধ করে দেন। তার ফলেই লড়াই থেকে সরে আসেন তিনি। পরে ওই আসনে মোশারফ হোসেনকে প্রার্থী করে তৃণমূল।
২০১৩ সালের উপনির্বাচনে বীরভূমের নলহাটি কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন আব্দুর রহমান। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ছেলে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় সাংসদ হওয়ায় খালি হয়েছিল সেই আসন। সেটাই তাঁর প্রথম বার ভোটে লড়া। যদিও সে বারের ভোটে হেরে যান তিনি। পরে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মুরারই আসনে তাঁকে টিকিট দেয় তৃণমূল। সেখান থেকে জিতেই প্রথমবার বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি।
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ-এর জেরে বেসামাল দেশের পরিস্থিতি। রোজই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। পশ্চিমবঙ্গেও গত ক’দিনে আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। রাজ্যের দু’জন প্রার্থীরও মৃত্যু হয়েছে। দু’জনেই মুর্শিদাবাদের। বৃহস্পতিবার সকালে সামশেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হকের মৃত্যু হয়েছে কোভিডে। জঙ্গিপুরের আরএসপি প্রার্থী প্রদীপ নন্দীর মৃত্যু হয়েছে শুক্রবার বিকালে।