ভাতারের বিদায়ী বিধায়ককে মিষ্টিমুখ এ বারের প্রার্থীর। নিজস্ব চিত্র ।
প্রতি বুথ থেকে প্রার্থীকে এগিয়ে রাখা, দুর্বল বুথ চিহ্নিত করে এখন থেকে প্রচারে জোর দেওয়া— প্রার্থী ঘোষণার পরে প্রথম রবিবার জেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে নিচুতলার নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করে এমন বার্তা দিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। কোনও কোনও এলাকায় এ দিন প্রার্থীরা বৈঠক ছাড়াও অন্য নানা কর্মসূচি নেন।
বর্ধমান শহরের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের একটি স্কুলে এ দিন যুব তৃণমূলের উদ্যোগে স্বাস্থ্যশিবিরের আয়োজন হয়। সেখানে ছিলেন বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী খোকন দাস। শহরের কাঁটাপুকুর এলাকায় দলের তরফে প্রার্থীর সমর্থনে মিছিলও করা হয়। মেমারি শহর তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের উদ্যোগে থানার কাছে একটি রক্তদান শিবির হয়। তৃণমূল প্রার্থী মধুসূদন ভট্টাচার্য, দলের নেতা আসরাফুদ্দিন, ফারুক আবদুল্লা প্রমুখ হাজির ছিলেন। মেমারির তাতারপুরে প্রার্থীকে নিয়ে মিছিলও হয়।
ভাতারের বিদায়ী বিধায়ক সুভাষ মণ্ডলকে এ বার টিকিট দেয়নি তৃণমূল। এ দিন সকালে সুভাষবাবুর গুসকরার বাড়িতে যান ভাতারের এ বারের তৃণমূল প্রার্থী মানগোবিন্দ অধিকারী। সুভাষবাবুকে মিষ্টিমুখ করান ও প্রচারে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানান তিনি। সুভাষবাবুর আশ্বাস, দলের নির্দেশ অনুযায়ী সব রকম সহযোগিতা করবেন। এ দিন সকালে মানগোবিন্দবাবু ওরগ্রামে প্রচারে যান। সেখানে পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ নিখিলেশ্বর মাজির বাড়িতে গিয়েও দেখা করেন।
গুসকরায় দলের কার্যালয়ে অঞ্চল সভাপতির সঙ্গে বৈঠক করে আউশগ্রামের প্রার্থী অভেদানন্দ থান্দার দুর্বল বুথ চিহ্নিত করে সেখানে বেশি সময় দেওয়ার নির্দেশ দেন। বিকেলে ভাল্কি পঞ্চায়েতের অমরারগড়ে একটি সভা করে তৃণমূল। রায়না ১ ব্লকের নাড়ুগ্রামে কর্মীদের নিয়ে সভা করেন প্রার্থী শম্পা ধাড়া। ছিলেন ব্লক সভাপতি বামদেব মণ্ডল প্রমুখ।
এ দিন বিকেলে কালনা ২ নম্বর ব্লকের সিঙেরকোণে তৃণমূলের বৈঠক হয়। কালনার প্রার্থী দেবপ্রসাদ বাগ ছাড়াও ছিলেন দলের রাজ্য মুখপাত্র দেবু টুডু, কালনা ১ ও ২ ব্লকের সভাপতি শান্তি চাল ও প্রণব রায়েরা। বিভিন্ন বুথের কর্মী, পঞ্চায়েতের সদস্য, প্রধানদের ডাকা হয়েছিল। দল সূত্রে জানা গিয়েছে, নেতারা বুথকর্মীদের এলাকা আঁকড়ে পড়ে থাকা, প্রতিটি বুথ থেকে প্রার্থীকে ‘লিড’ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন। প্রচারের সরঞ্জাম বিলি করা হয়।