হুগলির পান্ডুয়ায় নুসরতের ‘রোড শো’। নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে ‘রোড শো’ করলেন তারকা প্রচারক। কিন্তু তাতে গরহাজির রইলেন সেই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী। শুক্রবার হুগলির পান্ডুয়ায় তৃণমূলের অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরত জাহানরে এমনই পরিস্থিতির মুখে পড়তে হল।
পান্ডুয়া বিধানসভায় দলীয় প্রার্থী রত্না দে নাগের সমর্থনে প্রচারে এসেছিলেন নুসরত। কিন্তু নুসরতের ‘রোড শো’-তে দেখা যায়নি রত্নাকে। প্রচারে নুসরত বলেন, ‘‘বাংলার মানুষ দিদিকে কতটা ভালবাসেন তা ২ মে প্রমাণ হয়ে যাবে। মানুষের উচ্ছাস শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য।’’
শুক্রবার পান্ডুয়ার কোহিনুর রাইস মিল মাঠের অস্থায়ী হেলিপ্যাডে বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ নামে বসিরহাটের সাংসদের হেলিকপ্টার। গতবার এই কেন্দ্রে ফুটবলার রহিম নবিকে প্রার্থী করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিপিএমের আমজাদ হোসেনের কাছে পরাজিত হন নবি। পান্ডুয়ার ঘরের ছেলে হলেও আর নবিকে প্রার্থী না করে এ বার টিকিট দেওয়া হয়েছে শ্রীরামপুরের প্রাক্তন বিধায়ক তথা হুগলির প্রাক্তন সাংসদ রত্নাকে। যদিও তৃণমূলের একটি সূত্রের খবর, ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে হুগলিতে বিজেপি-র লকেট চট্টোপাধ্যায়ের কাছে হারার পর সে ভাবে দলের কর্মসূচিতে দেখা যায়নি তাঁকে। শারীরিক অসুস্থতার জন্য রত্না আর ভোটে দাঁড়াতে চান না বলেও তৃণমূলের ওই সূত্রের দাবি। তবুও তাঁকেই বিধানসভা ভোটে টিকিট দিয়েছে দল।
শুক্রবার রত্নার সমর্থনে মহামিছিলের আয়োজন করে তৃণমূল। তারই অংশ হিসেবে ‘রোড শো’ করেন নুসরত। তবে সেই রোড শোয়ে তেমন ভিড় চোখে পড়েনি বলে বিরোধীদের দাবি। দেখা মেলেনি প্রার্থীরও। পান্ডুয়ার বিজেপি প্রার্থী পার্থ শর্মা বলেন, ‘‘পান্ডুয়ায় তৃণমূলের নানা গোষ্ঠী। সকলেই নেতা। তাই কর্মীদের ভীড় নেই মিছিলে।’’ রত্নার অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে পার্থর মন্তব্য, ‘‘আমি শুনেছি উনি অসুস্থ। উনি হাঁটতে পারেন না। অনেক দূরে থাকেন। ওঁর বিশ্রামের প্রয়োজন। তাই বিশ্রাম নিচ্ছেন।’’
যদিও পান্ডুয়া ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ বলেন, ‘‘বিজেপি পান্ডুয়াতে তৃতীয় হবে। লড়াই হবে, তৃণমূল আর সিপিএমের। রত্নাদি বিপুল ভোটে জিতবেন। এ দিন রত্নাদির অন্য জায়গায় প্রচার থাকায় তিনি নুসরতের ‘রোড শো’-তে আসতে পারেননি। প্রার্থী না থাকলেও কোনও সমস্যা হয় না। কারণ তৃণমূল একটা পরিবারের মত।’’