প্রতীকী চিত্র।
অশীতিপর এবং বিশেষ ভাবে সক্ষম ভোটারদের জন্য বিনা খরচে পরিবহণের সুবিধা নিয়ে এল নির্বাচন কমিশন। ওই ভোটররা বুথে ভোট দিতে গেলে তাঁদের বিনামূল্যে উবর ক্যাবের সুবিধা দেবে কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, আপাতত এই সুবিধা পঞ্চম ও ষষ্ঠ দফার ক্ষেত্রে পাওয়া যাবে। তবে সব বিধানসভা এলাকায় এই পরিষেবা মিলবে না। কমিশনের নির্দিষ্ট করা কিছু বিধানসভার ক্ষেত্রেই এই সুবিধা প্রযোজ্য হবে। যা নিয়ে বির্তকও তৈরি হয়েছে।
৮০ বছরের ঊর্ধ্বে এবং বিশেষ ভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য এর আগে বাড়িতে গিয়ে ব্যালট পেপারে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করেছিল কমিশন। গত চার দফা ভোটে সেই প্রক্রিয়া মেনেই ভোট নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই প্রথম ওই ভোটারদের জন্য উবরের সুবিধা চালু করল কমিশন। কমিশনের হেল্পলাইন নম্বর ১৯৫০-তে ফোন করে এই সুবিধার জন্য আবেদন করতে পারবেন সংশ্লিষ্ট ভোটররা। কিন্তু কী ভাবে বিনামূল্যে মিলবে এই পরিষেবা? কমিশন জানাচ্ছে, হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করলে ওই ভোটারের এপিক নম্বর চাওয়া হবে। তারপর ওই ভোটারের ফোন নম্বরে উবরের একটি প্রোমো কোড দেওয়া হবে। সেই কোড উবের অ্যাপে বসালেই যাতায়াতের জন্য ২০০ টাকা করে মোট ৪০০ টাকা মিলবে অ্যাকাউন্টে। সেটি ব্যবহার করা যাবে উবর ক্যাবে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যাতায়াতের জন্য। যাঁরা এপিক কার্ড নম্বর দিতে অনিচ্ছুক তাঁরা নাম এবং ফোন নম্বর দিয়েও আবেদন করতে পারবেন। তবে সে ক্ষেত্রে ভোটার তালিকায় ওই ব্যক্তির নাম থাকা জরুরি। এই সুবিধা পাওয়া যাবে ভোটের দিন সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। নতুন এই সুবিধা নিয়ে কমিশনের বক্তব্য, ‘‘এমন অনেক ভোটার রয়েছেন যাঁরা বুথে এসে সশরীরে ভোট দিতে চান। কিন্তু হেঁটে যাওয়া হয়তো অনেকের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই তাঁদের কথা ভেবে এই সুবিধা নিয়ে আসা হয়েছে।’’ কেউ প্রোমো কোড ব্যবহার করে ভোট দিতে না গেলে তাঁর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে? সেই প্রশ্নের কোনও ব্যাখ্যা উত্তর অবশ্য দেয়নি কমিশন।
আপাতত এই সুবিধা পঞ্চম এবং ষষ্ঠ দফার ভোটে পাওয়া যাবে বলে কমিশন জানিয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বির্তকও তৈরি হয়েছে। কারণ এই সুবিধা সব বিধানসভা এলাকার মানুষ পাবেন না। শুধুমাত্র যে সব এলাকায় উবের পরিষেবা রয়েছে সেখানকার ব্যক্তিরাই এই সুবিধা পাবেন। শনিবার পঞ্চম দফার ভোট রয়েছে ৪৫টি আসনে। তার মধ্যে ১৬টি বিধানসভা এলাকায় এই সুবিধা মিলবে। যে আসনগুলির সবই উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অন্তর্গত। ষষ্ঠ দফার ভোটে রয়েছে ওই জেলারই আরও ১৭টি আসন। ফলে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কয়েকটি এলাকায়ই কেন বাড়তি সুবিধা দেওয়া হবে? অন্য ভোটাররা তো এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হলেন। কমিশনের উচিত ছিল সব জায়গায় একই ব্যবস্থা গ্রহণ করা।