তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: পিটিআই।
গণনার আগের দিন তৃণমূলের সমস্ত প্রার্থীদের নিয়ে এক জরুরি বৈঠকের ডাক দিলেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার দুপুর ১২ টায় এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। ইতিমধ্যে দলের সমস্ত প্রার্থীদের কাছে বৈঠকে যোগ দেওয়ার বার্তা পৌঁছে গিয়েছে। বৈঠকে থাকতে বলা হয়েছে প্রার্থীদের নির্বাচনী এজেন্টদেরও। ভার্চুয়ালি রাজ্যের ২৮৮ জন প্রার্থী ও তাঁদের এজেন্টদের সঙ্গে গণনা প্রসঙ্গে আলোচনা করবেন মমতা। প্রার্থীদের মৃত্যুর কারণে সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে ভোট হয়নি। জঙ্গিপুরের তৃণমূল প্রার্থী জাকির হোসেন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাই তাঁকে এই বৈঠকে যোগ দিতে বলা হয়নি। ভোট না হলেও সামশেরগঞ্জের বিদায়ী বিদায় তথা বর্তমান প্রার্থী আমিরুল ইসলামকে বৈঠকে থাকতে বলা হয়েছে। তবে তাঁর ভোট ১৬ মে।
২০১১ বা ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনপর্ব মিটে যাওয়ার পর এবং গণনার আগে তৃণমূল নেত্রী এমন কোনও বৈঠক করেন নি। তাই মুখ্যমন্ত্রীর এই কৌশল কিছুটা হলেও ভাবাচ্ছে রাজনীতির কারবারিদের। কারণ গণনার ক্ষেত্রে এবার কোভিড সংক্রমণের কারণে বেশ কিছু নতুন নিয়ম বলবৎ করেছে নির্বাচন কমিশন। কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ হলেই গণনা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে এজেন্টদের। বুধবার রাতে বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে বলে দাবি করে পাল্টা নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তাছাড়া এবারের সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে গণনা কেন্দ্রে টেবিলের সংখ্যা এক রেখে ঘরের সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই মনে করা হচ্ছে নতুন নিয়ম প্রসঙ্গে প্রার্থী ও নির্বাচনী এজেন্টদের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিতে মমতা এই জরুরি বৈঠক তলব করেছেন।
নির্বাচন ঘোষণার দিন থেকেই কমিশনের সঙ্গে বাংলার শাসক দলের সংঘাত লেগেই আছে। রাজনীতির কারবারিরা মনে করছে শনিবারের বৈঠকে কমিশনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক হতে পারেন মমতা। কারণ গণনার ক্ষেত্রে কমিশনের আনা নিয়মকানুন যে তৃণমূল নেতৃত্বের পছন্দ হয়নি তা বুধবার রাতে কমিশনকে দেওয়া চিঠিতেই বুঝিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাই মনে করা হচ্ছে, গণনা কেন্দ্রের ‘মাটি আঁকড়ে’ পড়ে থাকতে প্রার্থীর এজেন্টদের নির্দেশ দেবেন মমতা। গণনা কেন্দ্রের বাইরে জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে কমিশন। বিজয়ী প্রার্থী জয়ের শংসাপত্র নিতেও কেবল মাত্র দুইজন সঙ্গীকে নিয়ে যেতে পারবেন। বৈঠকে এই বিষয়গুলি উপরেও আলোকপাত করতে পারেন মমতা।