Municipality

Bengal Polls: পাঁচ পুর নিগমে নতুন প্রশাসক নিয়োগ রাজ্যের

রাজ্যের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কলকাতা, বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল এবং শিলিগুড়ি পুর নিগমে নতুন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২১ ০৬:১৯
Share:

পাঁচটি পুর নিগমের প্রশাসক পদে সোমবার বদল আনল রাজ্য সরকার। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দিয়েছিল, মেয়াদ উত্তীর্ণ যে সব পুর নিগমে প্রাক্তন মেয়র বা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের প্রশাসক হিসেবে রাজ্য বসিয়েছিল, ভোট চলাকালীন তাঁরা সেই পদে কাজ করতে পারবেন না।

Advertisement

রাজ্যের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কলকাতা, বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল এবং শিলিগুড়ি পুর নিগমে নতুন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে। কলকাতা পুরসভার ক্ষেত্রে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের সচিব খলিল আহমেদ প্রশাসক হয়েছেন। এরই সঙ্গে তিনি দফতরের দায়িত্বও সামলাবেন। বিধাননগর, চন্দননগর এবং আসানসোল পুরনিগমের কমিশনারদেরই সেই পুরনিগমগুলির প্রশাসক করা হয়েছে। গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ) এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের সচিব সুরেন্দ্র গুপ্তকে শিলিগুড়ি পুরনিগমের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করেছে রাজ্য। এই ধরনের মেয়াদ উত্তীর্ণ পুরনিগমগুলিতে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সরিয়ে নতুন প্রশাসক বসানোর দায়িত্ব মুখ্যসচিবের নেতৃত্বাধীন কমিটির উপর ছেড়েছিল কমিশন। সেই কমিটিই জানিয়েছে, নির্বাচনের পরে নতুন প্রশাসকমণ্ডলী তৈরি না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট অফিসাররাই পুরনিগমগুলিতে প্রশাসক হিসেবে কাজ করবেন।

গত বছরের এপ্রিল-মে মাস নাগাদ রাজ্যের ১৩৫টি পুরসভা এবং পুরনিগমের মধ্যে ১২৫টির মেয়াদ শেষ হয়েছে। সেগুলিতে এত দিন নির্বাচন না হওয়ায় মেয়র-চেয়ারম্যান-মেয়র পারিষদদেরই প্রশাসক হিসেবে বসানো ছিল। বিধানসভা ভোটের সময় এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করতে পারেন বলে সম্প্রতি কমিশনকে অভিযোগ জানিয়েছিল বিজেপি। তার পরেই রাজনৈতিক নেতাদের প্রশাসকের পদ থেকে সরানোর নির্দেশ দেয় কমিশন।

Advertisement

সোমবার বিকেলে প্রশাসকের দায়িত্ব নিয়ে সব বিভাগীয় কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন খলিল। তবে দীর্ঘদিন পরে পুরসভায় প্রশাসক আসায় পুর পরিষেবা পাওয়া নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত শহরবাসীদের একাংশ। তাঁদের শঙ্কা, এতদিন তাঁদের স্থানীয় সমস্যা ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরকে জানাতেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী শহরের ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরও এ দিন পদত্যাগ করেছেন। দক্ষিণ কলকাতার ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শর্মিষ্ঠা ঘোষের অভিযোগ, ‘‘এখন সমস্যা হলে কাকে জানাব?’’ শহরের এক নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘এখন আমার বাড়ি বা প্রতিবেশীর কেউ করোনা আক্রান্ত হলে পুর প্রশাসনের থেকে কীভাবে সাহায্য পাব?’’

এ প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, ‘‘কলকাতা পুরসভার কন্ট্রোল রুমে (০৩৩-২২৮৬১২১২, ০৩৩-২২৮৬১৩১৩ অথবা ০৩৩-২২৮৬১৪১৪ ) ফোন করে সাধারণ মানুষ তাঁদের সমস্যার কথা জানাবেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement