সায়ন্তন বসু। নিজস্ব চিত্র।
শীতলকুচিতে ভোটগ্রহণের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে বুক লক্ষ্য করে গুলি করার কথা বলছেন বিজেপি-র রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসু। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করে দেখেনি আনন্দবাজার ডিজিটাল। সেই ভিডিয়ো নিয়ে এ বার পাল্টা দিলেন সায়ন্তন। বললেন, ৪ জনের মৃত্যুর জন্য তিনি নন, বরং দায়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রবিবার জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে বিজেপি প্রার্থী বিষ্ণুপদ রায়ের সমর্থনে রোড শো করেন সায়ন্তন। তার পরে সাংবাদিকদের সামনে ভিডিয়োর প্রসঙ্গ উঠলে তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যদি এ রকম করে সাধারণ মানুষকে প্ররোচিত করেন, তা হলে কালকের মত ঘটনা আরও ঘটবে। কেন্দ্রীয় বাহিনী সমাজবিরোধীদের গণ্ডগোল করতে দেবে না। মুখ্যমন্ত্রীর উচিত এই ধরনের মন্তব্য না করা। চার জনের মৃত্যুর জন্য উনি দায়ী। সায়ন্তন বসু দায়ী নয়।’’
অনেক দিন আগের ভিডিয়ো দেখিয়ে তাঁকে বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন সায়ন্তন। তিনি বলেন, ‘‘২০১৯ সালের ভাষণের একটি ক্লিপিং দেখিয়েছে বলে শুনলাম। তবে আমি দেখিনি। ভালই হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের সভাতে আমার ভাষণ চালাচ্ছে। আমি বলব পুরোটা চালাতে। দু’লাইন, চার লাইন না চালিয়ে পুরোটা চালান, ভাল হবে।’’
শীতলকুচিতে কী ঘটেছিল সেই প্রসঙ্গে রাজ্য পুলিশ কী জানিয়েছে সেই কথাও তুলে আনেন সায়ন্তন। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যের পুলিশ সুপার, ডিআইজি কেন্দ্র থেকে আসেননি। উনি নিজেই নিয়োগ করেছেন। তারা পরিষ্কার বলেছেন ওখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আক্রমণ করার চেষ্টা করা হয়। বুথ দখল করার চেষ্টা করা হয়। ইভিএম লুঠের ব্যবস্থা করা হয়। আত্মরক্ষার্থে কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালায়।’’
যদিও এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক রাজেশকুমার সিংহ বলেন, ‘‘শীতলকুচিতে যে ভাবে নিরীহ মানুষগুলোকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে তার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সায়ন্তন বসু আজ বলেছেন, ভোট লুঠ করতে এসেছিল তাই গুলি করেছে। সায়ন্তন বসু কী করে বললেন যে তারা ভোট লুট করতে এসেছিল। তিনি কি সেই ঘটনাস্থলে ছিলেন। বিজেপি বুঝে গেছে তারা হারছে। তাই এই ধরনের খুনের রাজনীতি শুরু করেছে।’’