নারায়ণগড় থানায় ধরনা বিজেপি প্রার্থীর। নিজস্ব চিত্র।
ভোটরদের নিরাপত্তা দেওয়ার দাবিতে থানায় সারা রাত ধর্নায় বসলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নারায়ণগড়ের বিজেপি প্রার্থী রমাপ্রসাদ গিরি। তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী রাতের অন্ধকারে সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয় দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর। তাঁর দাবি, জেলা পুলিশ সুপার, জেলাশাসকের সঙ্গে ফোন করেও যোগাযোগ করতে পারছেন না তিনি। সে জন্যই সাধারণ ভোটারদের নিরাপত্তার কথা ভেবে এই কাজ করেছেন বলে জানিয়েছেন।
নিজের কিছু অনুগামী এবং বিজেপি কর্মী-সমর্থক নিয়ে বুধবার রাত দেড়টা নাগাদ চলে যান নারায়ণগড় থানার সামনে। তার পর বসে পড়েন ধর্নায়। রমাপ্রসাদ বলেছেন, ‘‘তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী রাতের অন্ধকারে সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে। মুখে কালো কাপড় বেঁধে বুধবার বিজেপি-র মিছিলেও ঢুকে পড়েছিল। ‘দেখে নেব’ বলে হুমকিও দিচ্ছে। সাধারণ মানুষ যদি নিশ্চিন্তে ঘুমাতে না পারেন, আমি প্রার্থী হয়ে ঘুমাবো কী করে? যতক্ষণ না পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে, এই থানাতেই আমরা বসে থাকব।’’
রাতেই পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল, বৃহস্পতিবার সকালে অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু, রমাপ্রসাদ-সহ বিজেপি কর্মীরা নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন। ভোট সাড়ে ৪টে পর্যন্ত থানাতেই বসে ছিলেন তাঁরা। একটি ভিডিয়ো বার্তায় রমাপ্রসাদ সরাসরি অভিযোগ করেছেন নারায়ণগড়ের তৃণমূল প্রার্থী সূর্যকান্ত অট্টের ঘনিষ্ঠ লক্ষ্মী সিটের দিকে। তিনি বলেছেন, “লক্ষ্মী তাঁর গুণ্ডাবাহিনী নিয়ে এলাকাবাসীকে হুমকি দিচ্ছে। অবিলম্বে তাঁদের গ্রেফতার করতে হবে।” পুলিশের জেলাস্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বারবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
বিজেপির-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘‘আমার সঙ্গে রমাপ্রসাদের কথা হয়েছে। তৃণমূল ওখানে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। স্থানীয় পুলিশ কিছু করছে না। আধিকারিকরা ফোন ধরছেন না। নির্বাচন বিধি চালু হলেও পুলিশ কাজ করছে না। নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।’’ প্রয়োজন হলে ভোট পর্যন্ত প্রতি রাতেই থানায় বসে ধরনা দেওয়ার কথা বলেছেন দিলীপ।
যদিও তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খারিজ করেছেন তৃণমূল প্রার্থী সূর্যকান্ত অট্ট। থানায় বিজেপি প্রার্থীর ধরনা দেওয়াকে কটাক্ষও করেছেন। বলেছেন, ‘‘হেরে যাবে, এটা বুঝতে পেরেছে বিজেপি। তাই মিথ্যে অভিযোগ করে সহানুভূতি কুড়ানোর চেষ্টা করছে। এ সব নাটক ছাড়া কিছু নয়।’’