মঙ্গলবার এই ছবিই ধরা পড়েছে জগৎবল্লভপুরে। নিজস্ব চিত্র।
ভোট নাকি কোনও অনুষ্ঠানবাড়ি! জগৎবল্লভপুর বিধানসভা কেন্দ্রের জাবদাপোতা গ্রামে মঙ্গলবারের ছবিটা দেখলে বোঝা দায়। তৃতীয় দফার নির্বাচন হচ্ছে বুধবার। হাওড়ার জগৎবল্লভপুর কেন্দ্রেও এই দফায় ভোট হচ্ছে। কিন্তু জাবদাপোতা গ্রামে সকাল থেকেই দেখা গেল অন্য ছবি। ভোট উপলক্ষে ভোজের আয়োজন করা হয়েছে এই গ্রামে।
তৃণমূল, বিজেপি দু’পক্ষই ভোটারদের জন্য খাবারের আয়োজন করেছে। মেনুতে গরম গরম লুচি আর কষা আলুর দম। ভোটদানের আগে বা পরে ভোটারদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করছেন দু’দলের সমর্থক, কর্মীরাই। শুধু ভোটার নয়, এই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে না ভোটারদের পরিবারকেও। সমর্থকদের হেঁসেল থেকে ভোটারদের জন্য চলে আসছে গরম লুচি আর আলুর দম। দু’দলের সমর্থকদের দাবি, এই ব্যবস্থায় খুশি সবাই।
কিন্তু ভোটের দিনে এমন আয়োজন, তাও আবার ভোটারদের জন্য, তাতে কি ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠছে না? দু’পক্ষই জানিয়েছে, এ নিয়ে কারও কোনও অভিযোগ নেই। কেননা এটা গ্রামের একটা রীতি। দীর্ঘ দিন ধরেই চলে আসছে। প্রতি ভোটেই এই ধরনের আয়োজন করা হয়। দু’দলের সমর্থকরা জানিয়েছেন, আগে ভোটারদের জন্য ছোলা, মুড়ির ব্যবস্থা করা হত। এখন সেই রীতিতে সামান্য পরিবর্তন এনে ছোলা, মুড়ির জায়গায় ভোটারদের পাতে দেওয়া হচ্ছে লুচি এবং আলুরদম।
এলাকার ১৭৩ নং বুথের বিজেপি সভাপতি সুরেশ কাঞ্জি বলেন, “এই গ্রামে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের বসবাস। তাঁদের সামান্য কিছু খাওয়াতে পারলে ভাল লাগে। এতে ভোটারদের প্রভাবিত করার কিছু নেই।” অন্য দিকে, এলাকার তৃণমূল নেতা শান্তি নাথের আবার দাবি, “গরমের মধ্যে গ্রামবাসীরা ভোট দিতে আসেন। অনেকেই কাজ ফেলে ভোট দিতে আসেন। তাই তাঁদের জন্য এই ব্যবস্থা।” জাবদাপোতা গ্রামের বাসিন্দা গৌতম মাখাল জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছেন প্রতি ভোটেই খাবার দেওয়া হয়। আগে তৃণমূল এবং সিপিএম ছোলা মুড়ি খাওয়াত। এখন লুচি আলুরদম দেওয়া হয়। তাঁর দাবি, এই গ্রামে সব দলের সমর্থকদের মধ্যেই একতা আছে। আর ভোটের দিন এই খাওয়ার আনন্দ সকলে মিলে উপভোগ করেন।