CPM

Bengal Polls: ভোটে ‘আকাশবাণী’ শোনাবে সিপিএম, প্রচারে লাল ভরসায় দূরদর্শনও, করোনাকালে নয়া কৌশল

রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে ওঠার কারণে আগেই বড় জনসভা থেকে শুরু করে রোড-শো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বামফ্রন্ট।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২১ ১৮:২৭
Share:

সরকারি রেডিয়ো এবং টিভি চ্যানেলের উপরেই প্রচারে ভরসা সিপিএমের। করোনা নিয়ে উদ্বিগ্ন সিপিএম জনসভা বন্ধ করে আকাশবাণী ও দূরদর্শনেই ভরসা রাখতে চাইছে। বাকি ৩ দফার ভোটগ্রহণে সেটাই হবে বামফ্রন্টের বড় শরিক সিপিএমের প্রচার কৌশল।

Advertisement

রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে ওঠার কারণে আগেই বড় জনসভা থেকে শুরু করে রোড-শো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বামফ্রন্ট। এ বার বিকল্পপথে প্রচার করতে নতুন পন্থা নিল সিপিএম। রাজ্যে এখনও ৩ দফার ভোটগ্রহণ বাকি। আগামী ২২, ২৬ ও ২৯ এপ্রিল ভোটগ্রহণ হবে ১১৪টি আসনে। সেই আসনগুলিতে সংযুক্ত মোর্চার হয়ে প্রচারে আকাশবাণী এবং দূরদর্শনকে বেছে নিয়েছে সিপিএম। আলিমুদ্দিন স্ট্রিট সূত্রে জানা গিয়েছে, বাকি ৩ দফার ভোটে ৩টি পর্যায়ে এই প্রচার হবে। আকাশবাণী ও দূরদর্শনে প্রচার চালাবেন সিপিএম নেতৃত্ব। প্রতি দফায় সিপিএমের বিভিন্ন শাখা সংগঠনের নেতাদেরও এই প্রচারে অংশ নিতে দেখা যাবে।

প্রথম দফায় প্রচার হবে রবি ও সোমবার। এই প্রচারে অংশ নেবেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, যুবনেত্রী মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, দীপ্সিতা ধর, ছাত্রনেতা সৃজন ভট্টাচার্য ও শ্রমিক সংগঠন সিটুর রাজ্য সভাপতি অনাদি সাহু,। রবিবার সন্ধ্যা ৫টা ৩০ মিনিটে দূরদর্শনে অনাদিবাবুর সঙ্গে দীপ্সিতা দলের হয়ে প্রচার চালাবেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মিনাক্ষী একক ভাবে প্রচারে অংশ নেবেন। এর পাশাপাশি রবিবারই আকাশবাণীতে ৩ দফায় প্রচার করবেন সিপিএমের নেতা-নেত্রীরা। রাত ৮টা ১০ মিনিট মিনাক্ষীর বক্তৃতা সম্প্রচারিত হবে। রাত ৮টা ৫৫ মিনিটে সৃজন প্রচার করবেন। সোমবার ১৯ এপ্রিল সকাল ৮টা ১০ মিনিটে বিমান বসু রেডিয়ো বক্তৃতায় ভোট চাইবেন।

Advertisement

তবে কেউই আকাশবাণী বা দূরদর্শনের স্টুডিয়োয় যাচ্ছেন না। সবার বক্তৃতা রেকর্ড করে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ষষ্ঠ দফায় ভোটগ্রহণের আগে প্রচারের যাবতীয় রেকর্ডিং ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়ে গিয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।

এমন প্রচার প্রসঙ্গে সিপিএম রাজ্য কমিটির এক নেতা বলেন, ‘‘কোভিড পরিস্থিতির জন্য অবশ্যই রোড-শো ও জনসভা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছি। কিন্তু প্রতিবার ভোটের সময় সরকারি মাধ্যমে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জন্য কিছু সময় বরাদ্দ করা থাকে। যা তাঁরা নিজেদের মতো করে কিনে নিয়ে ব্যবহার করতে পারে। এ ক্ষেত্রে আমরা তেমনটাই করছি। কোভিড পরিস্থিতিতে এ ভাবে প্রচার করে আমরা জনমানসে একটা সচেতনতার বার্তা পৌঁছানোর চেষ্টা করছি। একই সঙ্গে ভোটারদের কাছে নিজেদের বক্তব্য পৌঁছে দেওয়া যাবে।’’

অন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ছাত্র-যুব নেতৃত্বের দৌলতে নীলবাড়ি দখলের লক্ষ্যে নেটমাধ্যমের প্রচারে সমানে সমানে লড়াইয়ে সিপিএম। কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই সিপিএম-এর ডিজিটাল টিম অনেক আগে থেকেই নেটমাধ্যমে প্রচার শুরু করে দেয়। উল্লেখ্যযোগ্য প্রার্থীদের নেটমাধ্যমে এনে বেশি বেশি করে প্রচার করানোর সঙ্গে সঙ্গেই সিপিএম-এর বিশিষ্ট নেতাদের দিয়েও প্রচার করিয়েছেন তাঁরা। পয়লা বৈশাখের দিনটিকেও তাঁরা প্রচারের ক্ষেত্রে ব্যবহার করেছেন। ওইদিন মহম্মদ সেলিমকে দিয়ে ফেসবুক লাইভ করানো হয়।

আরও পড়ুন:

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement