ভোট গণনার আগে শেষ কাজের দিনে বিরোধী দলনেতার ঘরে আব্দুল মান্নান। বিধানসভায়
কোনও বুথ-ফেরত সমীক্ষা তাদের জন্য খুব আশাপ্রদ কিছুর ইঙ্গিত দেয়নি। এই ধরনের সমীক্ষা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে গণনার দিনে নির্দিষ্ট দায়িত্ব পালনের জন্য কর্মীদের প্রতি নির্দেশিকা জারি করা হল সংযুক্ত মোর্চার তরফে। বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান তথা প্রবীণ বাম নেতা বিমান বসু শুক্রবার এই নির্দেশিকা জারি করেছেন। বামফ্রন্টের জেলা নেতৃত্বের মাধ্যমে এলাকা ভিত্তিতে প্রার্থী ও এজেন্টদের কাছেও নির্দেশ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বিমানবাবু নির্দেশিকায় বলেছেন, কোথায় কী পদ্ধতিতে কাদের সঙ্গে কথা বলে কারা সমীক্ষা করেছেন, সে সব নানা প্রশ্ন থাকতেই পারে। কিন্তু তা নিয়ে বিতর্ক বা মাথা ঘামানোর সময় এখন নয়। গত কয়েক মাস ধরে সংযুক্ত মোর্চার কর্মীরা যে ভাবে মাটি কামড়ে লড়াই করেছেন, গণনার দিনেও তা-ই করতে হবে। করোনা-বিধির কারণে এ বার গণনা শেষ হতে সময় লাগতে পারে, তার জন্য প্রস্তুত থাকার কথাও বলেছেন বিমানবাবু।
ভোটে লড়ার পরে প্রার্থীদের মধ্যে কেউ কেউ গণনার দিনে আর বেরোন না। করোনা পরিস্থিতিতে এ বার আরও বেশি সংখ্যক প্রার্থী বেরোবেন না, এমনকি জিতলে শংসাপত্র নিতেও যাবেন না। কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান যেমন বেরোন না, তেমনই মনোজ চক্রবর্তী বা সিপিএমের সুজন চক্রবর্তীরা এ বার শারীরিক কারণে গণনা-কেন্দ্রের দিকে যাবেন না। ফলে, প্রার্থীর এজেন্টদের এ বার বাড়তি দায়িত্ব পালন করার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে মোর্চা নেতৃত্বের তরফে। ভোটের ফলপ্রকাশের আগে শেষ কাজের দিনে বিধানসভায় এসে এ দিনই বিরোধী দলনেতার ঘর থেকে নিজের কাগজপত্র ও অন্যান্য জিনিস গুছিয়ে নিয়ে গিয়েছেন মান্নান। বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দলের বিধায়কদের বসার ঘরে সংস্কারের কাজও চলছে।